কলকাতা: ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে নানা মহলে নানা কথা শোনা যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা পুরোপুরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর নির্ভর করছে। তবে বুধবার নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২ মাসের টানা কর্মসূচি ঘোষণার পরই নয়া জল্পনা শুরু হয়। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে তবে কি অভিষেকের বিশেষ কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরই পঞ্চায়েত ভোট হবে? বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিষয়টি খোলসা করেন অভিষেক নিজেই।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম ১৫ দিন পর পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হল। আজ ২০ তারিখ। তাহলে এর মধ্যে ধরা যাক ৫ মে অবধি যতটুকু করতে পারছি করব। তাও মানুষের মাঝে যাব। মানুষের সঙ্গে কথা বলব। একটা তো আমাদের কাছে দলের তরফ ফিডব্যাক থাকছেই। আমরা সেটাও পুনর্যাচাই করতে পারব। একইসঙ্গে মানুষ যদি অন্য কাউকে চায়, তাহলে সেটাও তারা আমাদের জানাতে পারবে। সেটাও দেখা হবে।”
বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি ঘোষণা করেন ২৫ এপ্রিল থেকে ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি শুরু হবে। টানা ২ মাস জেলায় জেলায় ঘুরবেন তিনি। গোপন ব্যালটে ভোট হবে প্রার্থীর ‘সাজেশন’ চেয়ে। এদিন বারবার অভিষেকের মুখে ‘মানুষের পঞ্চায়েত’-এর কথা শোনা যায়। একইসঙ্গে ‘পরিষ্কার পঞ্চায়েত’ গড়ারও ডাক দেন তিনি।
অভিষেক বলেন, “আমার পঞ্চায়েতে আমি শেষ কথা না, মানুষ শেষ কথা। সেই প্রচেষ্টাই আমরা নিচ্ছি। আমরা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন মানুষকে দাঁড় করাব। যে মানুষের যোগ্য প্রতিনিধি হিসাবে কাজ করবে।” সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অভিষেক এমনও বলেন, মানুষ যদি সিপিএম বা কংগ্রেস মনোভাবাপন্ন কাউকে তৃণমূলের প্রতীকে ভোটে লড়ার জন্য পরামর্শ দেন, তাতেও কোনও সমস্যা নেই। অভিষেকের বক্তব্য, “মানুষ যদি বলেন আমার পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী অন্য রাজনৈতিক দলের অমুক হন। আগামী ৫ বছর মানুষের জন্য ভাল হলে আমি কথা বলব। সে সিপিএম, কংগ্রেস বা বিজেপি হোক। আমার কোনও ইগো নেই।”