কলকাতা: অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Abhishek Banerjee) বৃহস্পতিবার বিকেলেই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলনের (DA Agitation) বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। বলেছেন, ডিএ নিয়ে কথা বলতে চাইলে, তাঁর কোনও আপত্তি নেই। তবে ডিএ আন্দোলনের মঞ্চকে রাজনৈতিক মঞ্চ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও মনে করছেন তিনি। আর এদিনই বিকেলে ডিএ-র দাবি আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাষ্কর ঘোষের (Bhaskar Ghosh) কাছে ফোন নবান্নের। আন্দোলনরত সরকারি কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় নবান্ন। আগামিকাল বিকেল সাড়ে চারটের সময় নবান্নে বৈঠকের জন্য ডাকা হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকে। ভাষ্কর ঘোষকে এই মর্মে চিঠিও পাঠানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। জানা যাচ্ছে, ভাষ্কর ঘোষের নেতৃত্বে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের একটি প্রতিনিধি দল আগামিকাল নবান্নের বৈঠকে যাবেন।
এই বিষয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে ভাষ্কর ঘোষ জানিয়েছেন, ‘রাজ্য সরকারের তরফে ই-মেল মারফত ও ফোন করে আগামিকাল (২১ এপ্রিল) বিকেলে বৈঠকের জন্য যেতে বলা হয়েছে। বৈঠকে আমাদের পাঁচজন প্রতিনিধিকে যেতে বলা হয়েছে। আশা করি, রাজ্য সরকার সদর্থক ভূমিকা নিয়েই এই সমস্যা সমাধানের জন্য আলোচনায় বসবে।’
উল্লেখ্য, বকেয়া মহার্ঘভাতার দাবিতে অনেকদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। রাজ্যের তরফে বাজেট প্রস্তাবে সরকারি কর্মীদের ডিএ তিন শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও তাতে চিঁড়ে ভেজেনি। আন্দোলনের ঝাঁঝ ক্রমেই বাড়িয়েছেন ভাস্কররা। পেনডাউন, কর্মবিরতি, ধর্মঘট, অনশন সব হয়েছে। এদিকে রাজ্যও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে, কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। এরই মধ্যে গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছিল, আগামী ১০ দিনের মধ্যে মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে রাজ্য সরকারকে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছিল।