কলকাতা: একদিন আগেও ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, তাঁর কাছে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বীরভূমের বাঘ। তবে মঙ্গলবারের পর এ নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে আগ্রহ দেখালেন না ফিরহাদ হাকিম। গোটা বিষয়টি আইনের বিচারাধীন বলেই জানালেন তিনি। আইনের বিষয়, বক্তব্য কুণাল ঘোষেরও। এদিন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “এটা কোর্টের ব্যাপার। আমি কালকেও বলেছি, আজও বলছি, এ নিয়ে কিছু বলব না। তবে বিরোধীরা কী বলছে জানি না, আদালত আদালতের কাজ করবে। আমাদের সকলকে আদালতের রায় মেনে চলতে হবে। আমাদের সকলেরই আদালতে যাওয়ার অধিকার আছে। আদালতে ন্যয় বিচার হবে বলে বিশ্বাস করি।” গত মাসেই রামপুরহাটের এক সভা থেকে ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “কেউ কেউ এখানে আসছে, বীরভূমে একটু লাফালাফি করছে। টিভি চ্যানেলে দেখা যায় বনের বাঘ একদিক থেকে অন্যদিকে গেলে শিয়ালগুলো লাফালাফি করে। আবার যেই বাঘ আসে, শিয়ালও লেজ তুলে পালিয়ে যায়। বীরভূমের বাঘকে তোমরা কিছুদিনের জন্য খাঁচায় রেখেছ। সারা জীবন পারবে না। সেই বাঘ যখন আবার বেরিয়ে আসবে, আজকে যে শিয়ালগুলো হুক্কাহুয়া হুক্কাহুয়া করছে, তারা সব খাঁচায় ঢুকে যাবে।” উল্লেখ্য, সে সময়ও অনুব্রত মণ্ডল বিচারাধীন ছিলেন।
সোমবারই ইডিকে নির্দেশ দেওয়া হয় অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যেতে পারবে তারা। সেইমতো শুরু হয় তৎপরতা। এরইমধ্যে অনুব্রতকে অন্য একটি অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে দুবরাজপুর থানার পুলিশ। যে বীরভূমের বেতাজ বাদশা, সেই জেলার পুলিশের হাতেই ধরা পড়েছেন কেষ্ট! এ নিয়ে বিরোধীরা টিপ্পনি কাটছে ঠিকই। তবে তৃণমূল এ নিয়ে খুব একটা এখনও আগ্রহ দেখায়নি।
কুণাল ঘোষ এ নিয়ে বলেন, “এটা সম্পূর্ণ আইনের ব্যাপার। যদি কোনও মামলা থাকে, গ্রেফতার হয়েছেন, এটা আইনের মধ্যেই পড়ছে। এ বিষয়ে দলের তরফ থেকে আলাদা করে বলার কোনও কারণ ঘটেনি। যেমন বাংলার কোনও ঘটনার তদন্তে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদনটাও আইনের মধ্যে পড়ে, তেমনই অন্য মামলা থাকতে তাতে গ্রেফতার করাটাও আইনের মধ্যেই পড়ে। যদি দিল্লি থেকে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট আইনসিদ্ধ হয়, তাহলে বাংলার কোনও আদালতের প্রোডাকশন ওয়ারেন্টও একইভাবে আইনসিদ্ধ হয়। গোটাটা আইনের ব্যাপার। এ বিষয়ে আমি দলে কিছু দেখতে পাচ্ছি না।”