Education Department: মাথায় যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে কমিটি গড়ল শিক্ষা দফতর

সুমন মহাপাত্র | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Mar 27, 2023 | 4:06 PM

Education: জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রস্তাব দেওয়া হয় স্নাতক স্তর তিন বছর থেকে বাড়িয়ে চার বছর করার জন্য। এই চার বছরের স্নাতক স্তরেই কোনও পড়ুয়া চাইলে গবেষণার সুযোগ পেতে পারেন।

Education Department: মাথায় যাদবপুরের উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, জাতীয় শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে কমিটি গড়ল শিক্ষা দফতর
সুরঞ্জন দাসকে মাথায় রেখে কমিটি গঠন।

Follow Us

কলকাতা: এর আগেই জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy) বাস্তবায়নের পথে প্রথম পদক্ষেপ করে রাজ্য। রাজ্যের বিশ্ববিদ্য়ালয়গুলিকে ইউজিসির নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছিল রাজ্য শিক্ষা দফতরের তরফে। এবার জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য কমিটি গড়ল দফতর। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা করবে এই কমিটি। কমিটিতে রয়েছেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নির্মাল্যনারায়ণ চক্রবর্তী। রয়েছেন বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দেবনারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ওমপ্রকাশ মিশ্র। এছাড়াও রয়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল অব হায়ার এডুকেশনের ভাইস চেয়ারম্যান (অ্যাকাডেমিক) কৌশিকি দাসগুপ্ত এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল অব হায়ার এডুকেশন-কনভেনারের জয়েন্ট সেক্রেটারি (অ্যাকাডেমিক) মৌমিতা ভট্টাচার্য।

যদিও এর আগেও শিক্ষাবিদদের কমিটি গড়েছিল রাজ্য। নাম ছিল বাঘা বাঘা শিক্ষাবিদদের। উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায়, গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক, সুগত বসুরা ছিলেন সেই কমিটিতে। নবান্নে জমা পড়েছিল জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের রিপোর্টও। ফের এবার উপাচার্যদের নিয়ে কমিটি।

ছয় সদস্যর এই কমিটি একটি রিপোর্ট দেবে সরকারকে। ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল অব হায়ার এডুকেশনের মাধ্যমেই এই রিপোর্ট জমা পড়বে। চার সপ্তাহের মধ্যে সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে। রাজ্য শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, জাতীয় শিক্ষানীতির একাধিক নিয়ম মেনে চলার জন্যই বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য।

জাতীয় শিক্ষানীতিতে প্রস্তাব দেওয়া হয় স্নাতক স্তর তিন বছর থেকে বাড়িয়ে চার বছর করার জন্য। এই চার বছরের স্নাতক স্তরেই কোনও পড়ুয়া চাইলে গবেষণার সুযোগ পেতে পারেন। সেইমতো প্রজেক্ট বেছে নিতে হবে। চার বছর পর যখন তিনি স্নাতক হবেন, একইসঙ্গে চার বছরের স্নাতকরা পিএইচডির জন্য আবেদনেরও সুযোগ পাবেন। তবে সেক্ষেত্রে গ্রেড পয়েন্টের একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে হবে। অন্যদিকে স্নাতকোত্তর ক্ষেত্রেও দু’ বছর কমিয়ে এক বছর করার কথা বলা হয়। রাজ্যের তরফে জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে প্রথম থেকেই বলা হয়েছে, যে দিকগুলি প্রকৃত অর্থেই পড়ুয়াদের জন্য ভাল, সেগুলি কার্যকর করা হবে। এবার সে পথেই আরও এক ধাপ এগোল বিকাশ ভবন।

Next Article