ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টি কমেছে দক্ষিণবঙ্গে। রবিবার সকাল থেকেই সেই চড়া রোদ উঠেছে। অস্বস্তিকর গরম রয়েছে। তাহলে কি দক্ষিণবঙ্গ থেকে বৃষ্টি বিদায় নিল? আবার বাড়বে রোদ? অপরদিকে, উত্তরবঙ্গে ঢেলে হচ্ছে বৃষ্টি। কবে কমবে? এক নজরে দেখুন আবহাওয়ার আপডেট
কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.২ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ রয়েছে ৬৯ থেকে ৯২ শতাংশ।
কলকাতার আকাশও রবিবার থাকবে আংশিক মেঘলা। বিকেল বা সন্ধ্যেয় বিক্ষিপ্তভাবে দু-এক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় অস্বস্তি বাড়বে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের।
প্রবল বৃষ্টির কারণে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায় এবং দার্জিলিং ও কালিম্পং-এর বেশ কিছু এলাকায় ল্যান্ড স্লাইড বা ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। জলস্তর বাড়বে তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, সংকোষের মতো উত্তরবঙ্গের নদীগুলিতে। প্রবল বৃষ্টির কারণে দৃশ্যমানতা কমে যেতে পারে পার্বত্য এলাকায়।
সোমবার পর্যন্ত মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। তবে হাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে এই তিন জেলার বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।
উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারে ৭০ থেকে ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর মধ্যে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে সবথেকে বেশি বৃষ্টির আশঙ্কা।
মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে দক্ষিণবঙ্গে। তবে জেলাগুলিতে আকাশ থাকবে আংশিক মেঘলা। সেই সঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা। বাড়বে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও।
আজও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে দু-তিন জেলায়। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে সব জেলাতেই। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ও বৃষ্টির সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
হাওয়া অফিসের তরফে খবর, পূর্ব-পশ্চিম নিম্নচাপ অক্ষরেখা রয়েছে। যা রাজস্থান থেকে মণিপুর পর্যন্ত বিস্তৃত। এই কারণেই সক্রিয় মৌসুমী বায়ু। এই রেখা উত্তর প্রদেশ থেকে দক্ষিণ বিহার এবং উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারত পর্যন্ত গিয়েছে।
সপ্তাহের শেষে উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। যার জেরে পার্বত্য এলাকায় ভূমি ধস ও এলাকায় প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অপরদিকে, দক্ষিণবঙ্গে রবিবারও কয়েক জেলায় বিক্ষিপ্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামিকাল থেকে কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও বাড়বে।