Manicktala By-election: সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর বছর ঘুরতে চলল, এখনও কেন মানিকতলায় উপনির্বাচন হল না?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 19, 2023 | 7:52 PM

Manicktala: গত ২৯ ডিসেম্বর মারা যান সাগরদিঘির বিধায়ক সুব্রত সাহা। এক মাস ঘোরেনি। এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে।

Manicktala By-election: সাধন পাণ্ডের মৃত্যুর পর বছর ঘুরতে চলল, এখনও কেন মানিকতলায় উপনির্বাচন হল না?
প্রয়াত বিধায়ক সাধন পাণ্ডে। ছবি ফেসবুক।

Follow Us

কলকাতা: সম্প্রতি প্রয়াত হয়েছেন সাগরদিঘির (Sagardighi) বিধায়ক সুব্রত সাহা। এই বিধানসভা কেন্দ্রে ২৭ ফেব্রুয়ারি উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবারই (১৮ জানুয়ারি ২০২৩) এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। তবে শুধু সাগরদিঘি নয়, রাজ্যের আরও একটি বিধানসভা কেন্দ্র এই মুহূর্তে ‘অভিভাবকহীন’। মানিকতলা (Manicktala) বিধানসভা কেন্দ্র। নিয়ম অনুযায়ী, কোনও কেন্দ্রের সাংসদ বা বিধায়ক প্রয়াত হলে ৬ মাসের মধ্যে উপনির্বাচন করানো হয়। কিন্তু এই কেন্দ্রে তার অন্যথা হয়েছে। কেন হয়েছে, তার উত্তর নির্বাচন কমিশন থেকে দেয়নি। সূত্রের খবর, মানিকতলা কেন্দ্রের ক্ষেত্রে মামলা জটে আটকে নির্বাচন কমিশন। তাই এক বছর হতে চলল এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না। সমস্যায় মানিকতলার সাধারণ মানুষ। মানিকতলার বিধায়ক ছিলেন সাধন পাণ্ডে। গত বছর ২০ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় তাঁর। এরপর থেকে বছর ঘুরতে চলল এ কেন্দ্রে বিধায়ক নেই। সাগরদিঘির উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রশ্ন উঠছে মানিকতলা কেন এতদিন ধরে বঞ্চিত? এক বছর হতে চলল, কেন সেখানে ভোট করাতে পারছে না কমিশন?

গত ২৯ ডিসেম্বর মারা যান সাগরদিঘির বিধায়ক সুব্রত সাহা। এক মাস ঘোরেনি। তার আগেই নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করে দিয়েছে কমিশন। তবে মানিকতলার ভবিষ্যৎ আইনি গেড়োয় আটকে। নির্বাচন কমিশন এ নিয়ে কিছু জানায়নি। তবে সূত্রের খবর, মানিকতলা নির্বাচনের পরেই কল্যান চৌবে একটি মামলা করেন। যে মামলার নিষ্পত্তি হয়নি এখনও। তাই মানিকতলার ভোট করা সম্ভব হচ্ছে না।

২০২১ সালের ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়। মানিকতলার তৃণমূল প্রার্থী সাধন পাণ্ডে বিজেপির প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে হারান ২০ হাজার ২৩৮ ভোটে। তার দু’মাস পরে ৪ জুলাই ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগের সঙ্গে পুর্নগণনার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন কল্যাণ। তিনি দাবি করেন, ২ মে ফল ঘোষণার পরপরই নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়ে চিঠিও দেওয়া হয়েছিল বিজেপির তরফে। এখনও সেই মামলা বিচারাধীন। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে মামলাটি শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ফেব্রুয়ারি মাসে। কমিশন সূত্রের খবর, সেই মামলার নিষ্পত্তির পরই ওই এলাকায় ভোটের ঘোষণা হবে।

Next Article