Siddiqullah Chowdhury: কেউ এলেন না! ‘অভিমানী’ গ্রন্থাগার মন্ত্রীর নাম না করে কটাক্ষ, ‘আমার দফতরে তো নিয়োগ হয়, দুর্নীতি হয় না’

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

May 15, 2022 | 8:00 AM

Siddiqullah Chowdhury: আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিল মন্ত্রীদের ছয়লাপ। প্রধান উদ্বোধক হিসেবে নাম ছিল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পরে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও দেখা মিলল না কারও।

Siddiqullah Chowdhury: কেউ এলেন না! অভিমানী গ্রন্থাগার মন্ত্রীর নাম না করে কটাক্ষ, আমার দফতরে তো নিয়োগ হয়, দুর্নীতি হয় না
রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী

Follow Us

কলকাতা: কথা ছিল আসবেন অনেকে। এলেন না অধিকাংশই। নির্ধারিতদের অনুপস্থিতিতে একাই ব্যাটন ধরলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ। আর শেষে উগরে দিলেন ক্ষোভ। গণশিক্ষা ও গ্রন্থাগার দফতরের উদ্যোগে তৃতীয় বইমেলার উদ্বোধন ছিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে। আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিল মন্ত্রীদের ছয়লাপ। প্রধান উদ্বোধক হিসেবে নাম ছিল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পরে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেও দেখা মিলল না কারও। অবশেষে নিজের দফতরের অনুষ্ঠানের দায়িত্বভার নিলেন সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীই। জমা ক্ষোভ বেরিয়ে এল বক্তব্যে।

নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম তৈরি। তখনও মূল মঞ্চের একেবারে মাঝের টেবিলে ব্রাত্য বসুর নাম। ডানদিক বামদিকে হুমায়ুন কবির থেকে শুরু করে অরূপ বিশ্বাস, সুজিত বসু- প্রত্যেকের নেমপ্লেট সাজিয়ে রাখা। কিন্তু মন্ত্রীদের দেখা নেই। আমন্ত্রিতদের মধ্যে এসেছেন মানস ভূঁইয়া, নাদিমুল হক, ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সুধাংশু শেখর দে। যাঁরা মঞ্চ আলো করে বসবেন, তাঁরাই অনুপস্থিত। কিন্তু উদ্বোধন তো আটকে থাকতে পারে না। অতঃপর শুরু হল মঞ্চের অনুষ্ঠান। উদ্বোধনী সঙ্গীত হল, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন হল, কিন্তু কিছুতেই মন ভুলল না সিদ্দিকুল্লাহর। বক্তব্যেই বেরিয়ে এল রাশি রাশি ক্ষোভ। মন্ত্রীর সাফ কথা, আসবেন না বললেই হত। কার্ডে নাম ছাপাতাম না।

কোভিডের কারণে গত দুই বছরে ভাল করে মেলা হয়নি। এবার জাকজমকের অভাব ছিল না। কিন্তু অভাব হল উপস্থিতির। সিদ্দিকুল্লাহ বলেন, “কার্ডে যতজনের নাম আছে, সবাইকে ডেকেছি। আমি তাঁদের সঙ্গে ও তাঁদের সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার দফতরও কথা বলেছে। আমি স্পষ্ট কথা বলি। আসবেন না সেটা জানানো উচিত ছিল। একা ব্রাত্য জানিয়েছেন অনিবার্য কারণে তিনি আসতে পারবেন না। বাকিরা? হয়তো ছোট দফতর বলে এলেন না? এটা তো বাংলার অনুষ্ঠান ছিল। কাজটা বেমানান হল। এ কথা বলতে সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরীর ঠোঁট কাঁপে না। ”

শুধু এটুকুতেই ক্ষান্ত হননি মন্ত্রীমশাই। এসএসসি ইস্যুতেও ঘুরিয়ে তীর্যক বার্তা তাঁর। বলেন, “রাজ্যবাসী তো এসব দেখছে, পুরাতন কথা। দফতরের পান থেকে চুন খসলে দায়িত্ব নিতে হবে। আমার দফতরে তো নিয়োগ হচ্ছে। দুর্নীতি নেই। ৭৩৮ পদে নিয়োগ হবে। সব জেলাশাসকরা করবেন।” তবে সিদ্দিকুল্লাহ এ-ও বলেন, “অন্য দফতর নিয়ে কথা বলব না।” আর এত ক্ষোভের মাঝেও সুখবর শুনিয়েছেন তিনি। রাজ্যে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশ্ববিদ্য়ালয় তৈরি হচ্ছে। তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন মন্ত্রী। বারুইপুরে তৈরি হবে সেই প্রতিষ্ঠান।

Next Article