কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের জন্য সব রাজনৈতিক দলগুলির এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা। দম নেওয়ার সময় নেই। আর তার মধ্যেই আবার রাজ্যসভার ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের কাজকর্মও রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট মিটতে না মিটতেই আবার রাজ্যসভার ভোটাভুটি (Rajya Sabha Election)। বাংলার সাতটি আসনের জন্য ভোটাভুটি হবে। ১১ তারিখ পঞ্চায়েতের গণনা। আর তারপরই ২৪ জুলাই রাজ্যসভার ভোট। এসবের মধ্য়ে এবার আরও দায়িত্ব বাড়ল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। বাংলা থেকে রাজ্যসভায় প্রাথমিক প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাঁকে। কাকে প্রার্থী করা হবে, তা নিয়ে বিধায়কদের সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাঁকে। দলীয় সূত্র মারফত এমনই জানা যাচ্ছে।
বিধায়করা কাকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন, সেই নিয়ে তাঁদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করবেন শুভেন্দু। সেখান থেকে যে নামগুলি উঠে আসবে, তা নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আরও একদফা আলোচনায় বসবেন বিরোধী দলনেতা। শুধু তাই নয়, রাজ্যসভার ভোটাভুটির সমীকরণের বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে একজন প্রার্থী নাকি দুজন প্রার্থী করা হবে, সেই বিষয়টিও শুভেন্দু অধিকারীর উপরেই ছেড়ে দিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব। সেক্ষেত্রে একটি আসন বিজেপি পেলে, অপরটিতে প্রার্থী দিয়ে ক্রস ভোটিংয়ের কোনও সম্ভাবনা থাকছে কি না, তাও দেখতে বলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
বিজেপি সূত্রে খবর, কিছু কিছু নাম ইতিমধ্যেই ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে পদ্ম শিবিরের অন্দরে। সেখানে মিঠুন চক্রবর্তী কিংবা উত্তরবঙ্গের অনন্ত মহারাজের নাম যেমন ঘুরছে, তেমনই রাজ্য বিজেপির ছয় পরিচিত মুখের প্রসঙ্গও উঠে আসছে। বাংলায় বিজেপির বিধায়ক-বল উত্তরবঙ্গে অনেকটা বেশি। সংখ্যার নিরীখে। তাই উত্তরবঙ্গ থেকে কাউকে প্রার্থী হিসেবে বাছা হোক, এমনও চাইছেন দলের অনেকে। সূত্র মারফত এমন বিষয়ও উঠে আসতে শুরু করেছে।
এদিকে বিজেপি সূত্রে খবর, উপরতলা থেকে কোনও নাম প্রার্থী হিসেবে চাপিয়ে দিতে চাইছে না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তারা চাইছে, নীচুতলার প্রস্তাবকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখতে। তারপর সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কাকে রাজ্যসভার প্রার্থী বাছাই করা হবে। তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছে, যাঁকেই প্রার্থী হিসেবে প্রস্তাবিত করা হোক, তাঁর যেন স্বচ্ছ্ব ভাবমূর্তি থাকে এবং তিনি যেন সুবক্তা হন।