কলকাতা: মিড ডে মিল (Mid day Meal) খেয়ে ছাত্র ছাত্রীদের যাতে ফুড পয়েজনিং বা খাদ্যে বিষক্রিয়া না হয় তার জন্য চাররকমের ব্যবস্থা নিতে বলেছিল কেন্দ্র। স্কুলশিক্ষা দফতরকে এবার সেই নির্দেশই দিল রাজ্য। একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে, স্কুলগুলি যেন মিড ডে মিল দেওয়ার ক্ষেত্রে বিষয়গুলির দিকে নজর রাখে। বিভিন্ন সময় মিড ডে মিল খেয়ে পড়ুয়াদের অসুস্থ হওয়ার অভিযোগ সামনে আসে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই গাফিলতির অভিযোগ ওঠে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এবার সেদিকে কড়াকড়ি কেন্দ্র ও রাজ্যের।
কোন কোন বিষয়ে নজর রাখার কথা বলেছে কেন্দ্র? যাঁরা মিড ডে মিল সাপ্লাই করেন, তাঁদের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হওয়া বাধ্যতামূলক। দ্বিতীয়ত, যাঁরা রান্নার কাজ করেন তাঁদেরও প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তিন, মিড ডে মিলের সামগ্রী যেখানে রাখা হবে, সেই স্টোর রুম ভালভাবে সাফাই করতে হবে। কোনওরকম অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যাতে মিড ডে মিল তৈরির উপকরণ না থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। নিয়মিত ইনস্পেকশন চালাতে হবে এই সব স্টোর রুমে। চতুর্থত, কোথাও ফুড পয়েজনিংয়ের খবর এলে কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিতে হবে। কোনওভাবেই তথ্য গোপন রাখা যাবে না।
মিড ডে মিল খেয়ে ফুড পয়েজনিংয়ের ঘটনায় দেশের সার্বিক চিত্রটাও যে খুব একটা স্বস্তির নয় কিছুদিন আগে একটি রিপোর্টে তারই ইঙ্গিত মিলেছিল। দ্য হিন্দু প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, কোভিড কাঁটা পার করে ছাত্র ছাত্রীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতেই ফের মিড ডে মিল খেয়ে খাদ্যে বিষক্রিয়ার বেশ কিছু কেস সামনে এসেছে। গত সেপ্টেম্বরের ওই প্রতিবেদনটিতে তুলে ধরা হয়, শেষ ৯০ দিনে প্রায় ১২০ জন পড়ুয়া এই ফুড পয়েজনিংয়ের শিকার হয়েছে। মূলত কর্নাটক, অন্ধ্র প্রদেশ ও বিহারের পরিস্থিতির উল্লেখ করা হয় সেখানে। মূলত দুর্বল পরিকাঠামো, অপর্যাপ্ত নজরদারি, অনিয়মিত তথ্য সরবরাহর বিষয়গুলি তুলে ধরা ক্যাগের একটি রিপোর্টে।