কলকাতা: মেট্রো ডেয়ারি মামলার শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশ নিলেন পি চিদম্বরম। বৃহস্পতিবার মেট্রো ডেয়ারি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু এদিন এজলাসে যাননি আইনজীবী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি অংশ নেন শুনানিতে। অন্যদিকে এদিনও আদালতের বাইরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সমর্থিত আইনজীবীরা। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে দিল্লি কঠোর ব্যবস্থা নিক, চান তাঁরা। মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এদিকে এই মামলায় কেভেন্টার্সের হয়ে মামলা লড়ছেন চিদম্বরম। যা ঘিরে বুধবারই হাইকোর্ট চত্বরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সমর্থিত আইনজীবীরা। যেখানে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী মামলা করেছেন, সেখানে কীভাবে দলেরই বর্ষীয়ান নেতা উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে সওয়াল করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এরপর দেখা যায় এদিন ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির তিনি। এদিন শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত সমস্ত নথি তলব করল হাইকোর্ট। আগামী ১৬ মে’র মধ্যে রাজ্যকে সমস্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
সিঙ্গাপুরের সংস্থা কেভেন্টার্স। অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, তাঁকে সস্তায় রাজ্য সরকারের ৪৩ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অধীরের বক্তব্য ছিল, প্রচুর অর্থের ক্ষতি করে এই শেয়ার বিক্রি হয়েছে। কীভাবে তা করা হল তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি। সিবিআই এর তদন্ত করুক চান বহরমপুরের সাংসদ। এই মামলায় কেভেন্টার্সের হয়ে চিদম্বরমের হাইকোর্টে সওয়াল করা ঘিরে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অন্যদিকে এদিন ফের হাইকোর্টে সূর্য সেনের মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সমর্থিত আইনজীবীরা। তাঁদের বক্তব্য, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন। দল যেন তাড়াতাড়ি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করে, চান তাঁরা।
বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টের বাইরে চিদম্বরমের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসপন্থী আইনজীবীরা। অধীর চৌধুরীর আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী বলেন, “তৃণমূলের পাশে দাঁড়াচ্ছেন একজন কংগ্রেসের নেতা। এর আমরা তীব্র ধিক্কার জানিয়েছি। চিদম্বরমসাহেবকে বলেছি আমরা, ‘আপনার মতো দালাল নেতাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস নিজের পায়ে দাঁড়াতে পাচ্ছে না’।” এদিকে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের বিক্ষোভকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়, “কংগ্রেসের একজন নেতা যিনি আবার পেশাদার আইনজীবী, আবার কংগ্রেস কর্মীদের আবেগ। তাঁদের ব্যাপার।” অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “অধীর চৌধুরী মামলা করেছেন তিনি কংগ্রেসের নেতা। চিদম্বরম তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন। তিনিও কংগ্রেসের নেতা। এটা হয়ত কংগ্রেসের অভ্যন্তরীন কিছু বিষয়। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে।”
যদিও এই প্রথমবার নয়, এর আগে তৃণমূলের হয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করতে আসায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল অভিষেক মনুসিংভিকেও। সেই জল দিল্লি পর্যন্ত গড়ায়। কংগ্রেসের আইনজীবী নেতাদের অবশ্য দাবি, তাঁদের রাজনৈতিক জীবন ও পেশাদার জীবন আলাদা। যদিও সেটা আদৌ বাস্তবে সম্ভব কি না সে তর্ক মেটেনি। তবে প্রদেশ সভাপতির দায়ের করা মামলায় অন্য পক্ষের হয়ে চিদম্বরমের সওয়াল করতে আসা ও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ কংগ্রেসকে আরও কিছুটা কোণঠাসা করল না তো, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।
কলকাতা: মেট্রো ডেয়ারি মামলার শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশ নিলেন পি চিদম্বরম। বৃহস্পতিবার মেট্রো ডেয়ারি মামলার শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। কিন্তু এদিন এজলাসে যাননি আইনজীবী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। ভার্চুয়াল মাধ্যমে তিনি অংশ নেন শুনানিতে। অন্যদিকে এদিনও আদালতের বাইরে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সমর্থিত আইনজীবীরা। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে দিল্লি কঠোর ব্যবস্থা নিক, চান তাঁরা। মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। এদিকে এই মামলায় কেভেন্টার্সের হয়ে মামলা লড়ছেন চিদম্বরম। যা ঘিরে বুধবারই হাইকোর্ট চত্বরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সমর্থিত আইনজীবীরা। যেখানে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী মামলা করেছেন, সেখানে কীভাবে দলেরই বর্ষীয়ান নেতা উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে সওয়াল করছেন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। এরপর দেখা যায় এদিন ভার্চুয়াল শুনানিতে হাজির তিনি। এদিন শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত সমস্ত নথি তলব করল হাইকোর্ট। আগামী ১৬ মে’র মধ্যে রাজ্যকে সমস্ত নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
সিঙ্গাপুরের সংস্থা কেভেন্টার্স। অধীর চৌধুরীর অভিযোগ, তাঁকে সস্তায় রাজ্য সরকারের ৪৩ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অধীরের বক্তব্য ছিল, প্রচুর অর্থের ক্ষতি করে এই শেয়ার বিক্রি হয়েছে। কীভাবে তা করা হল তা নিয়েই প্রশ্ন তোলেন তিনি। সিবিআই এর তদন্ত করুক চান বহরমপুরের সাংসদ। এই মামলায় কেভেন্টার্সের হয়ে চিদম্বরমের হাইকোর্টে সওয়াল করা ঘিরে নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। অন্যদিকে এদিন ফের হাইকোর্টে সূর্য সেনের মূর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস সমর্থিত আইনজীবীরা। তাঁদের বক্তব্য, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণও করেছেন। দল যেন তাড়াতাড়ি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করে, চান তাঁরা।
বুধবারই কলকাতা হাইকোর্টের বাইরে চিদম্বরমের গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসপন্থী আইনজীবীরা। অধীর চৌধুরীর আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচী বলেন, “তৃণমূলের পাশে দাঁড়াচ্ছেন একজন কংগ্রেসের নেতা। এর আমরা তীব্র ধিক্কার জানিয়েছি। চিদম্বরমসাহেবকে বলেছি আমরা, ‘আপনার মতো দালাল নেতাদের জন্য পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস নিজের পায়ে দাঁড়াতে পাচ্ছে না’।” এদিকে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে কংগ্রেসের বিক্ষোভকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথায়, “কংগ্রেসের একজন নেতা যিনি আবার পেশাদার আইনজীবী, আবার কংগ্রেস কর্মীদের আবেগ। তাঁদের ব্যাপার।” অন্যদিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “অধীর চৌধুরী মামলা করেছেন তিনি কংগ্রেসের নেতা। চিদম্বরম তাঁর বিরুদ্ধে লড়ছেন। তিনিও কংগ্রেসের নেতা। এটা হয়ত কংগ্রেসের অভ্যন্তরীন কিছু বিষয়। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে।”
যদিও এই প্রথমবার নয়, এর আগে তৃণমূলের হয়ে হাইকোর্টে সওয়াল করতে আসায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল অভিষেক মনুসিংভিকেও। সেই জল দিল্লি পর্যন্ত গড়ায়। কংগ্রেসের আইনজীবী নেতাদের অবশ্য দাবি, তাঁদের রাজনৈতিক জীবন ও পেশাদার জীবন আলাদা। যদিও সেটা আদৌ বাস্তবে সম্ভব কি না সে তর্ক মেটেনি। তবে প্রদেশ সভাপতির দায়ের করা মামলায় অন্য পক্ষের হয়ে চিদম্বরমের সওয়াল করতে আসা ও তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ কংগ্রেসকে আরও কিছুটা কোণঠাসা করল না তো, প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।