কলকাতা: প্রথমে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তারপর এখন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের নিশানায় বাংলাদেশ থেকে নির্বাসিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন। প্রথমজন বলেছিলেন ‘শিক্ষিত শয়তান’, দ্বিতীয়জন একধাপ এগিয়ে আবার বললেন, ‘মানুষ বলেই গণ্য করেন না’। কেন বারবার তৃণমূলের মন্ত্রী বিধায়কদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে তসলিমাকে? আসলে তলসিমার অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার তাঁর লেখা ‘লজ্জা’ নাটকটি এ রাজ্যে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এই নিয়ে সমাজ মাধ্যমে ফুঁসে উঠেছেন লেখিকা। এবার তাঁর বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই মন্তব্য করেছেন ফিরহাদ।
বস্তুত, বাংলাদেশ ইস্যুতে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। সে দেশে হিন্দুদের উপর নিগ্রহ চলছে। অভিযোগ উঠছে সে দেশে জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে হিন্দুদের ঘর-বাড়ি। মারধর করা হচ্ছে তাঁদের। এই সবের প্রভাব পড়েছে এ রাজ্যেও। এই পরিস্থিতি এ রাজ্যে কোনও রকম অস্থিরতা যাতে না তৈরি হয় তার জন্যই রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করেছেন লেখিকা। যার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ফিরহাদ হাকিম বলেন, “ধুত ও আবার মানুষ নাকি। ধরি না ওকে।” এর আগে ভরতপুরের বিধায়কের রোষের মুখে পড়তে হয়েছিল তসলিমাকে। লেখিকা অভিযোগ করেছিলেন, মাদ্রাসায় জঙ্গি কার্যকলাপের। তার প্রেক্ষিতেই হুমায়ুনের থেকে লেখিকাকে শুনতে হয়েছে, শিক্ষিত শয়তান।
উল্লেখ্য, এ দিন তসলিমা পোস্ট করে লিখেছেন যে, গোবরডাঙা আর পাণ্ডুয়ায় এই নাটকটি মঞ্চস্থ হওয়ার কথা ছিল। যার জন্য দু’মাস যাবত বিজ্ঞাপন দেওয়াও হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎই পুলিশ জানিয়েছে এই নাটক চলবে না। তাতে এ রাজ্যে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।