কলকাতা: দুর্গাপুজো মানে তো শুধুই ঠাকুর দেখা, অঞ্জলি দেওয়া বা ধুনুচি নাচ নয়… পুজোর প্রেমটাও তো মাস্ট। বছর বছর তাই ম্যাডক্সে ভিড় জমে। আড্ডা হয়। নতুন বন্ধু হয়। প্রেম হয়। কিন্তু মন্ত্রী, রাজনীতিকরা? তাঁদের জীবনেও কি পুজোয় প্রেম এসেছে কখনও? পুজোর প্রেমের অভিজ্ঞতা নিয়ে টিভি নাইন বাংলায় অকপট রাজ্যের দুই তাবড় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও ফিরহাদ হাকিম।
সুরুচি সংঘের পুজোর সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে অরূপবাবু। সুরুচির পুজোর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক তিনি। এখনও অবিবাহিত তিনি। পুজোয় প্রেম নিয়ে কেমন অভিজ্ঞতা মন্ত্রীমশাইয়ের? অরূপবাবু অবশ্য বলছেন, ২৫ বছর ধরে তিনি প্রেম করছেন। তবে তা সুরুচির সঙ্গেই। টিভি নাইন বাংলাকে বললেন, “ছোট থেকে সুরুচিকে ঘিরেই সবকিছু। সকাল থেকে সন্ধে সুরুচিতেই বসে আছি। একা আছি না সঙ্গে কেউ আছে, সেটা তো মনের ব্যাপার। আমার প্রেম-ভালবাসা মানুষের সঙ্গে, সুরুচির সঙ্গে।” তবে মন্ত্রীমশাই বলছেন, ‘প্রত্যেক মানুষই সৌন্দর্যের পুজারি। তবে ভাল-লাগা বা না-লাগা সেটা তো নিজস্ব ব্যাপার।’
তবে অরূপ বিশ্বাসের সুরুচির সঙ্গে প্রেমের কথা শুনে ফিরহাদ জানালেন, তিনি এখনও প্রার্থনা করেন যাতে অরূপের তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে যাক। বললেন, “অনেকদিন উড়ে বেরিয়েছে। এবার ঘর বাঁধুক। পাত্রীটা শুধু খুঁজতে হবে। আমার মনে হয়, সেটাও একপ্রকার খোঁজা হয়ে গিয়েছে।” অরূপের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ফিরহাদ হাকিম কিন্তু কোনও রাখঢাক রাখলেন না। বললেন, “এবার ওঁর ঘর বাঁধার সময় হয়েছে। কতদিন আর একা একা থাকবে!”
চেতলার মণ্ডপে টিভি নাইন বাংলার মুখোমুখি হয়ে জানালেন, “ছোটবেলায় এসবের চান্স পাইনি। কারণ বাবা মাত্র ২৫ বছর বয়সে আমার বিয়ে দিয়ে দিয়েছিলেন। তারপর থেকে স্ত্রীয়ের সঙ্গে প্রেম। লোকে বিয়ের আগে প্রেম করে, আমার বিয়ের পরে প্রেম।” পুজোর প্রেম নিয়ে একেবারে খোলামেলা গল্প করলেন মন্ত্রী ফিরহাদ। বললেন, “ইয়ং বয়সে স্ত্রীকে নিয়ে বাইকে করে ঘুরেছি দুর্গাপুজোয়। বারুইপুরের রাস্তায়। এই পথ যদি না শেষ হয়… গান করতে করতে রাস্তায় ঘুরেছি। সবই করেছি। এখন বয়স হয়ে গিয়েছে।”