কলকাতা: জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজারে মাল নদীতে হড়পা বান প্রাণ কেড়েছে ৮ জনের। শুক্রবার মালবাজারে যাচ্ছে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। ৯ সদস্যর একটি দল সকাল ১০টায় পৌঁছবে সেখানে। সূত্রের খবর, এই প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিধায়ক দীপক বর্মন, সাংসদ জয়ন্ত রায়, বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ, জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপি প্রেসিডেন্ট বাপি গোস্বামী, মনোজ টিগ্গা, বিধায়ক পুনা ভেংরা, বিধায়ক কৌশিক রায়, বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়, বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, এই পর্যবেক্ষক দল মালবাজারের মাল নদীর ধারে যাবে। যেখানে দশমীর রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। কমপক্ষে আটজন মারা যান, অনেকের খোঁজ নেই বলেও মনে করা হচ্ছে। অনেকে হাসপাতালেও ভর্তি। ভাসানে ৮ জনের সলিল সমাধির ঘটনায় প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে ইতিমধ্যেই টুইট করেছেন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি টুইটারে লিখেছেন, এই ঘটনার দায় প্রশাসনকে নিতেই হবে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও প্রশ্ন তুলেছেন অস্থায়ী বাঁধ দেওয়া নিয়ে।
অন্যদিকে সুকান্ত মজুমদারের টুইট, ‘এটা কি নিছকই কোনও দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিত খুন? বালি ও পাথর মাফিয়াদের সাহায্য করতে তৈরি করা হয়েছিল কৃত্রিম বাঁধ। যার কারণেই এই ঘটনা?’ যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “গাছপালার অধ্যাপক নদী বিশেষজ্ঞ হয়ে গেলে তা হলে খুব সমস্যা।” বরং তিনি বলেন, “যখন বারবার মাইকিং হয়েছে জল বাড়ছে উঠে আসুন, তখন কেন কথা শোনা হল না?”
এই ঘটনা প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীর তোপ, “এ বাংলায় মানুষের জীবনের তো কোনও মূল্য নেই। হড়পা বানে মরে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মরে, চলতে চলতে মরে, ড্রেনে পড়ে মরে। এ বাংলায় মৃত্যু তো ছেলেখেলা।”