কলকাতা: বাড়িতেই কারবার। বাইরে থেকে কাঁচা মাল কিনে এনে ঘরে বসে প্যাকিং করতেন বছর ৫২’র প্রৌঢ়। এরপর মহেশতলার ওই বাড়ি থেকেই প্যাকেট প্যাকেট ‘মাল’ ছড়িয়ে পড়ত বাজারে। এলাকার কেউ কোনওদিন ঘুণাক্ষরেও কিছু টের পাননি বলেই দাবি। তবে পাড়ার লোকেরা না ধরতে পারলেও, পুলিশের চোখ এড়ানো সম্ভব হয়নি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় খোকন মাইতি নামে এক ব্যক্তিকে। সঙ্গে ৬৩ কেজি গাঁজা। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানা এলাকার এই ঘটনা। মহেশতলা পুরসভার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের ব্যানার্জিহাট ঘোষপাড়া। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় খোকন মাইতিকে। অভিযোগ, তাঁর কাছ থেকে পাঁচটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। যার ভিতর প্রায় ৬৩ কেজি গাঁজা ছিল বলে মহেশতলা পুলিশ সূত্রে খবর। এদিন ধৃতকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত তখন প্রায় ৯টা। মহেশতলার পুলিশ জানতে পারে ব্যানার্জিহাটের একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণে গাঁজা রাখা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই অভিযানে বের হয় পুলিশ। সেখানেই খোকন মাইতির বাড়ি থেকে ৬৩ কেজি গাঁজা পাওয়া যায়। পুলিশের নানা প্রশ্নের মুখে পড়ে কিছুটা থতমত খেয়ে যান খোকন। এরপরই গ্রেফতার করা হয় ওই যুবককে। পাঁচ ব্যাগ ভর্তি গাঁজা নিয়ে যায় পুলিশ। পাড়ার খোকনের এহেন কাণ্ডে তাজ্জব এলাকার লোকজন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া গাঁজার বর্তমান বাজার দর কয়েক লক্ষ টাকা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার মুখে খোকন স্বীকার করেছেন, বিভিন্ন ব্যক্তির মাধ্যমে এই বাড়িতে নিয়মিত গাঁজা এসে পৌঁছত। এরপর তা প্যাকেজিংয়ের কাজ হত এই বাড়িতে। তার পর তা প্যাকেট করে বিভিন্ন জায়গায় যেত। পুলিশ জানতে চায়, বিপুল পরিমাণ এই গঞ্জিকা মূলত কোথায় নিয়ে যাওয়া হত। এর পিছনে আর কারা যুক্ত সে উত্তরও খুঁজছে পুলিশ। এদিন খোকন মাইতিকে আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে পুলিশ। তাঁকে জেরা করে গুরুত্বপূর্ণ কিছু উত্তর উঠে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।