কলকাতা: পঞ্চায়েতের প্রচারে বেরিয়ে দুর্যোগের মধ্যে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের হেলিকপ্টার। পায়ে ও কোমরে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত বাড়িতেই চিকিৎসা চলছে। আজও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাঁর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখে এসেছেন বাড়ি গিয়ে। এখন কেমন আছেন মুখ্যমন্ত্রী? মমতার বাড়ি থেকে বেরনোর সময় এসএসকেএম এর ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আগের তুলনায় কিছুটা ভাল আছেন তিনি। যন্ত্রণাও আগের থেকে কমেছে। তবে ফিজিওথেরাপি এখনও চালিয়ে যেতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় সভা করার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। উত্তরবঙ্গ থেকে তা শুরুও করে দিয়েছিলেন। কোচবিহারে সভা করেছেন। জলপাইগুড়িতে সভা করেছেন। আর তারপরই এই বিপত্তি। চোট পাওয়ার আগে পর্যন্ত যেমন শোনা যাচ্ছিল, তাতে ৩০ তারিখ অর্থাৎ আজ থেকেই আবার মমতার জেলা সফর শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হেলিকপ্টারে চোট পাওয়ার ফলে, তা এখনও শুরু করতে পারেননি মমতা। কবে থেকে আবার বেরতে পারবেন তিনি? চিকিৎসক মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু এখনই সেভাবে আশার কথা শোনালেন না। জানালেন, কবে থেকে তিনি বেরতে পারবেন, তা এখনই বলতে পারছেন না চিকিৎসকরা। প্রতিদিন তাঁর চিকিৎসা চলছে ও শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী সেদিন পায়ে চোট পাওয়ার পর কলকাতায় ফিরে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। সেখানে উডবার্ন ব্লকে রাখা হয়েছিল মমতাকে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিক্যাল বোর্ডও গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি তিনি। তাই বাড়িতেই চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেদিন এসএসকেএম-এ ঢোকার সময়ে মমতাকে কিছুটা খুড়িয়ে খুড়িয়ে ঢুকতে দেখা গিয়েছিল। আর পরে যখন তিনি হাসপাতাল থেকে বেরোন, তখন হুইল চেয়ারে করেই বেরতে হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী যে গাড়িতে যাতায়াত করেন, সেই গাড়ির বদলে অন্য একটি গাড়ি আনা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর সুবিধার জন্য।