কলকাতা: ভোটের আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সামনে অবস্থানে বসছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। ৮ জুলাই ভোট। তার আগে ৪ জুলাই কমিশনের অফিসের সামনে বেলা ১টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানে বসছেন তাঁরা। গত ৩ জুন ভোটকর্মীদের সুরক্ষার দাবিতে গণ ইমেল করা হয় রাজ্যপাল, নির্বাচন কমিশনার ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। এবার নিরাপত্তার দাবি নিয়ে আরও কঠিন অবস্থানে তাঁরা।
শুধু ধরনাই নয়, আগামী ৭ জুলাই ও ৮ জুলাই শহিদ মিনারে সংগ্রামী যৌথমঞ্চের তরফে খোলা হবে হেল্প ডেস্ক। ভোটকর্মীরা ডিউটিতে গিয়ে কোথাও কোনওরকম অসুবিধায় পড়লেই ফোন করতে পারবেন নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে। এরপরই সেই অভিযোগ জানিয়ে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট জায়গায়।
১৫০ দিনের বেশি সময় ধরে ডিএ আন্দোলনকারীরা শহিদ মিনারে ধরনায় বসেছেন। বকেয়া ডিএ চান তাঁরা, সঙ্গে স্বচ্ছ নিয়োগ। এই দাবি নিয়ে দিল্লি অবধিও গিয়েছেন তাঁরা। বসেছেন যন্তর মন্তরে। ভোটের আবহে এবার তাঁরা নিরাপত্তার দাবিতে সরব। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন জায়গায় হিংসার খবর আসছে। মনোনয়নপর্বেই বিডিও অফিসে যে ছবি দেখা গিয়েছে, তারপর সরকারি কর্মীদের নিরাপত্তার দিকটিও কমিশনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন ডিএ আন্দোলনকারীরা।
এই ডিএ আন্দোলনকারীরাই প্রথম থেকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা দিয়ে ভোটের দাবি তুলেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা না থাকলে ভোটের কাজে যোগ দেবেন না তাঁরা। যার রেশ আদালত অবধি গড়ায়। এমনকী ভোটে একাধিক দফারও দাবি তুলেছিলেন। ভোটের আর এক সপ্তাহ বাকি। আগামী শনিবার ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে ফের সুর চড়াচ্ছেন তাঁরা।