Left-Congress-ISF: আবার একসঙ্গে বাম-কংগ্রেস-ISF, উঠল সংযুক্ত মোর্চার জয়ধ্বনিও! ভাঙড় কি পারল এককাট্টা করতে?

Aritra Ghosh | Edited By: Soumya Saha

Jul 13, 2023 | 10:09 PM

Bhangar Violence: ব্রিগেডের মঞ্চের সংযুক্ত মোর্চার সেই মলিন হয়ে যাওয়া ছবিটার ধুলো-ময়লা যেন আজ আবার ঝেড়ে চকচকে করে দেওয়া হল। আবার একসঙ্গে রাস্তায় নামল তিন দল। সৌজন্যে, পঞ্চায়েত ভোটের 'অশান্তি'।

Left-Congress-ISF: আবার একসঙ্গে বাম-কংগ্রেস-ISF, উঠল সংযুক্ত মোর্চার জয়ধ্বনিও! ভাঙড় কি পারল এককাট্টা করতে?
কলকাতার রাজপথে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ
Image Credit source: নিজস্ব চিত্র

Follow Us

কলকাতা: বহুদিন পর আবার কলকাতার রাজপথে একসঙ্গে বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ। একুশের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে ‘সংযুক্ত মোর্চা’ বিষয়টা অনেকটা থিতু হয়ে গিয়েছিল। নওশাদের গ্রেফতারির সময়ে বামেরা রাস্তায় নেমেছিল আইএসএফের সঙ্গে। কিন্তু কংগ্রেসকে সেই সময়ে দেখা যায়নি। নওশাদদের সঙ্গে অধীরদের একটা দূরত্ব তৈরির কথাও শোনা গিয়েছিল। নওশাদ যেমন বলেই দিয়েছিলেন, ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি মার্কা কথাবার্তা’ তাঁর একেবারেই না-পসন্দ। ব্রিগেডের মঞ্চের সংযুক্ত মোর্চার সেই মলিন হয়ে যাওয়া ছবিটার ধুলো-ময়লা যেন আজ আবার ঝেড়ে চকচকে করে দেওয়া হল। আবার একসঙ্গে রাস্তায় নামল তিন দল। সৌজন্যে, পঞ্চায়েত ভোটের ‘অশান্তি’। নওশাদের বক্তব্য রাখার সময় আবার ভিড়ের মধ্যে থেকে শোনা গেল সংযুক্ত মোর্চার জয়ধ্বনিও। বহুদিন পর স্লোগান উঠল, ‘সংযুক্ত মোর্চা জিন্দাবাদ’।

ভাঙড়ের রক্তারক্তি, পঞ্চায়েতের ভোট লুঠ, গণনায় কারচুপি… অভিযোগ বিস্তর। আর সেই অভিযোগগুলিকে সামনে রেখেই অতৃণমূল-অবিজেপি শক্তির অস্বস্তি প্রমাণের চেষ্টা দেখা গেল কলকাতার রাজপথে। ধর্মতলা থেকে মৌলালি পর্যন্ত চলে মিছিল। বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তী, মহম্মদ সেলিমের মতো প্রথম সারির বাম নেতারা হাঁটেন মিছিলের সামনের সারিতে।

সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের কথায়, ‘বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের হত্যা প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে। শুধু কলকাতায় নয়, রাজ্যের সব জেলায় বাম-কংগ্রেস-আইএসএফের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমেছে।’ সুজনবাবুর মুখেও শোনা গেল ‘গণতন্ত্রের হত্যার’ অভিযোগ। বলছেন, ‘গণতন্ত্রকে বাঁচাতে, বাংলাকে বাঁচাতে, মানুষকে বাঁচাতে আজ রাস্তায় নামতেই হয়েছে। আগে আমরা করেছিলাম, আজ সবাই এসেছে।’

মিছিলে ছিলেন নওশাদ সিদ্দিকীও। গত কয়েকদিন ধরে ভাঙড়ে যে অশান্তি, রক্তারক্তি হয়েছে সেই নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। রাজ্যজুড়ে যা চলছে, তা ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস’ বলেই মনে করছেন তিনি। বললেন, ‘শাসক যেন-তেন প্রকারে ক্ষমতা ধরে রাখতে চাইছে।’

ম্যাটডরের উপর তৈরি অস্থায়ী মঞ্চ থেকে একসঙ্গে দেখা গেল বাম-কংগ্রেস-আইএসএফকে। কংগ্রেস নেতৃত্ব ও নওশাদকে দু’পাশে নিয়ে বক্তব্য রাখলেন মহম্মদ সেলিমরা। সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বললেন, ‘৬০ জন মানুষের রক্ত খেয়েছে তৃণমূল।’ মিছিলে আজ পা মিলিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস রাজ্য সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চট্টোপাধ্য়ায়ও। তিনিও নির্বাচন পরবর্তী হিংসার অভিযোগে নিশানা করলেন শাসকের বিরুদ্ধে। বললেন, ‘আমরা সকলে মিলে লড়াই করব।’

সবাই মিলে লড়াইয়ের বার্তা এল মিছিল থেকে। অশান্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর বার্তাও এল। কিন্তু কোথাও কি একটা ঘাটতি থেকে গেল? কারণ, আজকের মিছিলে কংগ্রেস নেতৃত্বের মুখে বার বার রাজ্যের সামগ্রিক অশান্তির কথা শোনা গেলও আলাদা করে নওশাদদের বিষয়ে কিছু বলতে দেখা গেল না। আবার নওশাদের বক্তব্যেও ঠিক উল্টোটা। এতদিন ধরে কংগ্রেস আর আইএসএফকে একসঙ্গে নিয়ে চলার যে চেষ্টা বামেরা করে আসছে, আজও কি সেই রকমই কোনও চেষ্টা? মানে, অধীর আর নওশাদ উভয়েরই ‘কমন বন্ধু’ সেলিম-সুজনরা? নাকি প্রকৃত অর্থেই তিন দল একে অন্যের প্রতি বন্ধুত্বে সমর্পিত? সেটা কিন্তু পুরোপুরি স্পষ্ট হল না।

Next Article