কলকাতা: ভাঙড়ের নির্বাচনী অশান্তি নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। আর এরই মধ্যে নতুন তত্ত্ব তৃণমূলের গলায়। ভাঙড়ে নাকি নকশালপন্থীরা ঢুকে পড়ছে। আইএসএফের সঙ্গে নকশালদের যোগসাজশ রয়েছে বলে দাবি করছে রাজ্যের শাসক দল। ভাঙড়ের পরিস্থিতি নিয়ে আজ এমনই মন্তব্য করতে দেখা গেল ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক তথা ক্যানিং পূর্বের শাসক বিধায়ক শওকত মোল্লাকে। তৃণমূল নেতার অভিযোগ, ভাঙড় সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া হয়ে উঠেছে। ভাঙড়ে নকশালপন্থীরা ঢুকে পড়ছে বলেও দাবি শওকতের। কিন্তু কেন এমন দাবি করছেন ভাঙড়ের তৃণমূল পর্যবেক্ষক? কীসের ভিত্তিতে এমন বিস্ফোরক দাবি?
শওকত মোল্লার বক্তব্য, ভাঙড়ের অশান্তিতে যে হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করা হয়েছে, এমন ছবি তাঁর কাছে রয়েছে। তাহলে কি আইএসএফের সঙ্গে নকশালের যোগ দেখতে পাচ্ছেন তিনি? প্রশ্ন করায় ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক বলেন,’হ্যান্ড গ্রেনেড কারা ব্যবহার করে? গোটা বাংলায় তৃণমূল হোক, সিপিএম হোক, কংগ্রেস হোক, বা বিজেপি… যত মস্তান-সমাজবিরোধী রয়েছে, কেউ হ্যান্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে না। হ্যান্ড গ্রেনেড একমাত্র নকশালপন্থীরা ব্যবহার করে। সেই গ্রেনেড এখন ভাঙড়ে দেখা গেল।’
এদিকে শওকতের এই দাবির পর কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকেও। আজ নওশাদের ভাঙড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিজের বিধানসভা এলাকাতেই ঢুকতে পারছেন না তিনি। পুলিশ তাঁর পথ আটকে দিয়েছে। রাস্তায় ব্যারিকেড বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। সকাল প্রায় সাড়ে দশটা থেকে রাস্তায় আটকে নওশাদ। হাল ছাড়ছেন না তিনিও। এখনও রাস্তাতেই নিজের গাড়িতে বসে রয়েছেন তিনি। সেখানে তাঁকে এই হ্যান্ড গ্রেনেড ও নকশাল-যোগের অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিধায়কের পাল্টা বক্তব্য, ‘আর কার কার সঙ্গে আইএসএফের সম্পর্ক রয়েছে, সেই লিস্ট তৈরি করুক তৃণমূল। কখনও বলছে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক, কখনও বলছে অমুকের সঙ্গে, কখনও তমুকের সঙ্গে।’
নওশাদের দাবি, এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। রাজনৈতিকভাবে আইএসএফের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পেরেই তৃণমূল কখনও বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক বা কখনও অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কের তত্ত্ব দেগে দেওয়ার চেষ্টা করছে। বললেন, ‘আমাদের সঙ্গে মানুষের সঙ্গ রয়েছে।’