কলকাতা: প্রার্থীদের নথি বিকৃত করার অভিযোগ উঠেছিল উলুবেড়িয়ার এক নম্বর ব্লকের বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে-র বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েত মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই নির্দেশ অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অপূর্ব রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। শুক্রবার এই মামলার শুনানি শেষ হল। রায়দান আগামী সোমবার।
প্রসঙ্গত, উলুবেড়িয়া ২ নম্বর ব্লকের দুই সিপিএম প্রার্থী ফিরোজা বিবি ও ওমজা বিবি বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, তাঁরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়ে দেন। অভিযোগ, স্ক্রুটিনির পর দেখা যায়, তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ গিয়েছে। এমনকি, ওই দু’জন প্রার্থী তাঁদের কাস্ট সার্টিফিকেট জমা করলেও রেজিস্টারে তা নথিভুক্ত হয়নি। বিডিও-কে একাধিকবার এই বিষয়টি জানানোর পরও তিনি কোনও পদক্ষেপ করেননি বলে অভিযোগ। উলুবেড়িয়া এক নম্বর ব্লকের বিডিও-র বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। গত ২১ জুন অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন দুই সিপিএম প্রার্থী। বিচারপতি অমৃতা সিনহার ঘরে মামলাটি ওঠে। এই মামলায় বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, যেহেতু একজন রাজ্য সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধেই অভিযোগ উঠছে, তাই রাজ্য পুলিশ কিংবা রাজ্যের গোয়েন্দা দিয়ে এই তদন্ত হবে না। সেক্ষেত্রে তিনি সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন।
এর আগে রাজ্যের একাধিক দুর্নীতি মামলা, তা শিক্ষক নিয়োগ হোক, কিংবা গরু-কয়লা পাচার সংক্রান্ত ইস্যু, সিবিআই তদন্তে দিয়েছে আদালত। কিন্তু পঞ্চায়েতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কার্যত নজিরবিহীন।
বিচারপতি সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য় বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সওয়াল করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, আগামী সোমবার এই মামলার রায় দান। ততদিন পর্যন্ত সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ে অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ থাকবে।