কলকাতা: ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayet Election) মনোনয়ন পর্ব চলছে। সেই মনোনয়নকে কেন্দ্র করে জেলায় জেলায় ঝামেলার অভিযোগ উঠছে। সোমবার মনোনয়ন তোলা ও জমা দেওয়ার তৃতীয় দিনে রণক্ষেত্র হয় পূর্ব বর্ধমানের বড়শুল, মুর্শিদাবাদের রানিনগর, উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ। জেলায় জেলায় এই অশান্তির ঘটনা নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল এদিন। তাঁর বক্তব্য, জেলাশাসক, পুলিশ সুপাররা আছেন। তাঁরাই এটা দেখবেন। তবে পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি না সে প্রসঙ্গে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “কোর্টে বিষয়টি বিচারাধীন। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারব না।”
মনোনয়ন পত্র জমা যেখানে জমা দেওয়া হচ্ছে বা তোলা হচ্ছে সেই কেন্দ্র থেকে ১ কিলোমিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, তার জেরে কিছুটা সুবিধা হচ্ছে বলেই কমিশনের কাছে রিপোর্ট এসেছে। এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূলের বাহিনী যেখানে যেখানে পেরেছে গুন্ডাগিরি করেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের কর্মীরা আক্রমণ প্রতিরোধ করে মনোনয়ন জমা দিয়েছে।”
পাল্টা তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে সবটা হচ্ছে। এত বড় রাজ্য। কোথাও কোথাও সামান্য বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়েছে। বর্ধমানে সিপিএমের জেনেটিক প্রবলেম। ফলে এরা কোথাও কোথাও গন্ডগোল করতে আসছে। আমাদের কর্মীদের বলেছি প্ররোচনায় পা না দিতে।”
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও মনোনয়নপর্বের গোলমাল প্রসঙ্গে বলেন, “নজর আমাদের আছে। লড়াই ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে হবে। রাস্তায় হবে, গ্রামে হবে, কোর্টের দরজায় হবে, স্টেট ইলেকশন কমিশনের সামনে হবে, সব সাংবিধানিক সংস্থায় হবে। কোথাও এক ইঞ্চি ছাড়া হবে না।”