কলকাতা: শহরে ফিরছেন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ভুবনেশ্বর এইমস জানিয়ে দিয়েছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটেই গুরুতর নয়। তাই মঙ্গলবার প্রথম বিমানেই পড়শি রাজ্য থেকে পার্থকে উড়িয়ে আনছেন ইডি আধিকারিকরা। ঘড়ির কাঁটা ঠিক ৫টা বাজতে ৮ মিনিট। বিজু পট্টনায়ক আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে এসে পৌঁছল ইডি আধিকারিকদের গাড়ি। পিছনের সিটে বসে পার্থ। সঙ্গে ছিল ওড়িশা পুলিশও। সকালেই ফিরবেন কলকাতায়। যেহেতু আদালত তাঁকে ১০ দিনের ইডি হেফাজত দিয়েছে, সেহেতু আপাতত ইডির জিম্মাতেই থাকতে হবে মন্ত্রীকে।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আছেন আইনজীবী ও এসএসকেএমের চিকিৎসকরা। সোমবার বিশেষ বিমানে ভুবনেশ্বর যান তাঁরা। এসএসকেএমের চিকিৎসক তুষারকান্তি পাত্রের বক্তব্য, “এসএসকেএমের রিপোর্টের সঙ্গে এইমসের রিপোর্টের কোনও তফাত নেই। আমরা ভর্তির সিদ্ধান্ত নিই শনিবার। তখন রোগীর যেমন অবস্থা ছিল, সেইমতো সবটা হয়েছে। ইডির হেফাজতে ছিলেন উনি। রোগীর প্রেশার, ক্লিনিক্যাল স্ট্যাটাস অনেক খারাপ ছিল। সেই সময় মেডিক্যাল টিম যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তেমনটাই হয়েছে। পেশেন্টের আমাদের কাছে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা মতো চিকিৎসা হয়েছে। তারপর এখানে আনা।”
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী অনিন্দ্যকিশোর রাউত বলেন, “কোর্টের অর্ডার যেহেতু অনেক রাতে এসেছে। তারপরই প্রথম বিমানে কলকাতায় ফিরছি। ইডি যেহেতু এই বিমানে টিকিট কেটেছে, তাই আমরা নিজেরা এই বিমানেই টিকিট কেটে ফিরছি।” সোমবারই পার্থকে ১৪ দিনের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল ইডি। আদালত ১০ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করে। মামলার শুনানি শেষ হওয়া থেকে রায়দান পর্যন্ত একটা দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। রাত প্রায় ১১টা নাগাদ এই নির্দেশ দেয় আদালত।
সূত্রের খবর, হেফাজতে নিয়ে আজ থেকেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জেরা শুরু করতে পারে ইডি। সে কারণেই তড়িঘড়ি প্রথম বিমানে ভুবনেশ্বর থেকে কলকাতায় আনা হচ্ছে। বিমানবন্দর থেকে তাঁকে নিয়ে সোজা সিজিও কমপ্লেক্সে যাবেন তদন্তকারীরা। কয়েক ঘণ্টার বিরতির পর অর্পিতার সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে তাঁকে।