কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (Primary Education Board) সাম্প্রতিক অতীতে যেভাবে বারবার স্বচ্ছতার কথা বলেছে, ডিএলএড (D.El.Ed) পরীক্ষার শুরুতেই তা হোঁচট খেয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের (Question Leak Controversy) অভিযোগে সোমবার তোলপাড় হয়েছে গোটা রাজ্য। তাই এবার আরও সতর্ক প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ডিএলএড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সেন্টার ইনচার্জদের হাতে পাওয়ার সময় সোমবারই বেঁধে দিয়েছিল পর্ষদ। এবার সেখানে আরও কড়াকড়ি করা হল। সেন্টার ইনচার্জরা সাড়ে ১১টার আগে প্রশ্নপত্র হাতে পাবেন না। মঙ্গলবার পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই কথা জানানো হয়েছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠতেই এবার আরও সাবধানী প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সোমবারের পরীক্ষা শেষ হতেই তড়িঘড়ি বৈঠকে বসেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। তিনি বিষয়টিকে প্রশ্ন ফাঁস হিসেবে না দেখে বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছেন। এরপরই সোমবার পর্ষদের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। তাতে বলা হয়েছিল, বেলা ১১টা ১৫ মিনিটের আগে যেন কোনওভাবে সেন্টার ইনচার্জরা প্রশ্নপত্র হাতে না পান। এবার সেই সময় আরও বাড়ানো হল। নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বেলা সাড়ে ১১টায় প্রশ্নপত্র হাতে পাবেন সেন্টার ইনচার্জরা।
পর্ষদের তরফে মঙ্গলবার জারি করা ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সাড়ে ১১ টায় সিলড প্রশ্নপত্র হাতে পাবেন সেন্টার ইনচার্জ, অফিসার ইনচার্জরা। সিল করা ট্রাঙ্কে করে নিতে হবে প্রশ্নপত্র। কোথাও কোনও অনিয়ম হলেই আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে পর্ষদ।
উল্লেখ্য, সোমবারের পর এদিনও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু প্রশ্নপত্রের প্রতিলিপি ঘুরপাক খেতে শুরু করেছিল। যদিও পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, সেগুলির সঙ্গে আসল প্রশ্নপত্রের কোনও মিল নেই। তবে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কোনও খামতি রাখতে চাইছে না পর্ষদ। সোমবারের ঘটনার যাতে আরও কোনওভাবেই পুনরাবৃত্তি না হয়, তা নিশ্চিত করতে তৎপর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আর তাই এবার আরও কড়াকড়ি করা হচ্ছে প্রশ্নপত্র হাতে পাওয়ার নিয়মে।