SLST: নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের মেধা তালিকা প্রকাশ এসএসসির

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 14, 2022 | 9:42 PM

SSC: সল্টলেকে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য, ২০১৬ সালে তাঁদের যে ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশিত হয়, তাতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে।

SLST: নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়, নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগের মেধা তালিকা প্রকাশ এসএসসির
এসএলএসটির তালিকা প্রকাশ। ফাইল চিত্র।

Follow Us

কলকাতা: নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগের (SLST) মেধা তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। নম্বরের ‘ব্রেক আপ’-সহ মেধাতালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। ২০১৬ সালে প্রথম এসএলএসটি পরীক্ষা হয়। নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষকের পরীক্ষা স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট বা এসএলএসটি। মেধাতালিকার দ্বিতীয় ফেজ প্রকাশ হতেই বিস্তর অভিযোগ ওঠে। এসএলএসটির মেধাতালিকায় নাম ঢুকে যায় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর। শুরু হয় তরজা। এরপরই আদালতের নির্দেশে চাকরি যায় পরেশ-কন্যার। আদালতে এখনও মামলা চলছে। সেই আবহে সম্পূর্ণ ব্রেক আপ-সহ মেধা তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি। ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে তালিকা। শুধুমাত্র নবম-দশমের তালিকাই প্রকাশিত হয়েছে।

এদিন পূর্ণাঙ্গ প্যানেলই প্রকাশ করেছে কমিশন। প্রকাশিত করা হয়েছে ওয়েটিং লিস্টও। আদালতের নির্দেশ মেনেই এই প্যানেল ও ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশ করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেইমতোই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তালিকা সামনে আসে। গত ১২ মে প্যানেল এবং ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

সল্টলেকে দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছেন এসএলএসটি চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের বক্তব্য, ২০১৬ সালে তাঁদের যে ওয়েটিং লিস্ট প্রকাশিত হয়, তাতে স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, মেধাতালিকায় প্রথমদিকের নাম বাদ দিয়ে পিছন দিক থেকে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রকৃত যোগ্যরা এর জেরে বঞ্চিত। এর আগে প্রেস ক্লাবের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন এসএলএসটি প্রার্থীরা। নবম-দশম শ্রেণির সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরির জন্য ২০১৬ সালে এসএলএসটি পরীক্ষা দিয়েছিলেন অনিন্দিতা বেরা। এসএলএসটি নবম ও দশম শ্রেণির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন অনিন্দিতা। মেধা তালিকায় নামও ছিল। তাঁর অভিযোগ ছিল, তাঁর থেকে কম নম্বর পেয়ে চাকরি পেয়ে গিয়েছেন কয়েকজন। এ নিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন।

Next Article