Municipal Elections 2022: কেন ৪-৬ সপ্তাহ পিছানো হয়নি পুরভোট? কমিশনে গেল হাইকোর্ট অবমাননার নোটিস

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Jan 19, 2022 | 3:36 PM

Municipal Polls: সাত দিনের মধ্যে কমিশন ওই নোটিসের জবাব না দিলে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

Municipal Elections 2022: কেন ৪-৬ সপ্তাহ পিছানো হয়নি পুরভোট? কমিশনে গেল হাইকোর্ট অবমাননার নোটিস
আগামীকাল

Follow Us

কলকাতা: চার পুরনিগমে ভোট (West Bengal Municipal Elections) তিন সপ্তাহ পিছিয়েছে। উদ্ভুত করোনা পরিস্থিতিতে ২২ জানুয়ারির পরিবর্তে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে ১২ ফেব্রুয়ারি আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগর – এই চার পুরনিগমের ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। আর এই নিয়েই এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে আদালত অবমাননার নোটিস ধরানো হয়েছে। মঙ্গলবার কমিশনকে ওই নোটিস পাঠিয়েছেন জনস্বার্থ মামলাকারী বিমল ভট্টাচার্য। সাত দিনের মধ্যে কমিশন ওই নোটিসের জবাব না দিলে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

কমিশনের জবাব চাইছেন মামলাকারী

উল্লেখ্য, রাজ্যের করোনার সংক্রমণ লাগামছাড়াভাবে বাড়তে থাকায় তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই সংক্রমণের পরিস্থিতিতে চার পুরনিগমের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ২২ জানুয়ারির থেকে পিছিয়ে দেওয়া যায় কি না, সেই বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার কথা বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের পরামর্শ ছিল ন্যূনতম ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া যেতে পারে পুরনিগমের নির্বাচন। কিন্তু হাইকোর্টের সেই পরামর্শের পরেও কেন তাকে মান্যতা দিল না কমিশন? সেই প্রশ্ন তুলেই এবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে হাইকোর্ট অবমাননার নোটিস পাঠিয়েছেন মামলাকারী বিমন ভট্টাচার্য। মামলাকারীর প্রশ্ন, কোন যুক্তিতে তিন সপ্তাব ভোট পিছানো হল? কেন আদালতের পরামর্শ মতো ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হল না পুরনিগমের ভোট? এ ক্ষেত্র কমিশনের যুক্তি কী রয়েছে… সেই সব বিষয়ে সবিস্তারে জানতে চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।

কী বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট?

তবে কলকাতা হাইকোর্টে পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ জানিয়েছিল। হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছিল, রাজ্য নির্বাচন কমিশন একটি পৃথক স্বতন্ত্র সংস্থা। তাই এই বিষয়ে সরাসরি আদালত কোনও নির্দেশ চাপিয়ে দিতে চায়নি কমিশনের উপর। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, নির্বাচন কমিশন একটি স্বতন্ত্র সংস্থা। একইরকমভাবে কলকাতা হাইকোর্টও একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। তাই কমিশনের নির্বাচন করানোর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে হাইকোর্ট আদৌ হস্তক্ষেপ করতে পারে কি না, তা নিয়ে সংশয়ের জায়গা থেকেই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে সরাসরি কোনও নির্দেশ না দিয়ে, কমিশনকে ভোট পিছানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার কথা বলেছিল হাইকোর্ট। এ ক্ষেত্রে কমিশনের কোর্টেই বল ছেড়ে দিয়ে, ৪-৬ সপ্তাহ ভোট পিছানোর পরামর্শ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট।

আরও পড়ুন : Governor Jagdeep Dhankhar: মুখ্যসচিবকে ৭ দিন সময় দিলেন রাজ্যপাল, না হলেই আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি!

Next Article