Jodhpur Park Boys: হোমওয়ার্ক না করায় পঞ্চম শ্রেণির পড়ুয়ার হাতে কালশিটে ফেললেন কলকাতার নামজাদা স্কুলের দিদিমণি

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 12, 2022 | 7:01 AM

Jodhpur Park Boys School: যদিও থানায় অভিযোগ দায়েরের পরই ওই ছাত্রের বাড়িতে যান অভিযুক্ত শিক্ষিকা। বলেন, আঘাত এতটা গভীর জেনে তিনিও কষ্ট পেয়েছেন।

Follow Us

কলকাতা: দিদিমণির মারে হাতে দগদগে কালশিটে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের। অভিযোগ, হোমওয়ার্ক না করায় মারধর করেন স্কুলের শিক্ষিকা। তার ফলেই ছোট্ট হাত দু’টোর এমন অবস্থা। অভিযোগের আঙুল শহরের নাম করা যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের দিকে। শুধু হাতেই নয়, ওই ছাত্রের পায়েও কালশিটে পড়ে গিয়েছে বলে দাবি তার মায়ের। ছাত্রের মায়ের অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পরই ছেলে বমি করতে শুরু করে। আতঙ্কে স্কুলে যেতেও চাইছে না সে। এরপরই ছেলে নিয়ে ডাক্তারের কাছে ছোটেন মা। একইসঙ্গে লেক থানায় অভিযোগও দায়ের করেন ওই ছাত্রের বাবা।

ওই ছাত্রের কথায়, “দিদিমণি অঙ্কের খাতা দেখছিলেন। আমার হোমওয়ার্কটা করা হয়নি। তাই মেরেছেন। খুব লেগেছে।” ছাত্রের মায়ের অভিযোগ, দিদিমণি, মাস্টারমশাইরা তো শাসন করবেনই। কিন্তু তা বলে এভাবে? তাঁর কথায়, “বাচ্চারা না পড়ে দুষ্টুমি করলে ওনারাই তো শাসন করবেন। সেটাই তো স্বাভাবিক। আমরা মা, বাবারাও তো শাসন করি। আমরাও চাই স্কুলে শাসন থাকুক। এর আগেও ছোট-বড় কিছু স্কুলে হলে আমি যাইনি। আমি জানি আমার বাচ্চারই অন্যায়। উনি শাসন করেছেন। সে কারণে ছেলে আমার সঠিক পথেই চলবে। কিন্তু শাসনের মাত্রা যদি এই হয়, তারপর দিন কোন ভরসায় আমি ওইটুকু ছেলেকে স্কুলে পাঠাই বলুন তো? কাল যে আরও বেশি কিছু হবে না আমার বাচ্চার, কে বলবে?”

ওই ছাত্রের বাবা বলেন, তাঁর স্কুলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। শহরের অন্যতম নামকরা স্কুল। পঠনপাঠনও সেখানে সত্যি ভাল হয়। সে কারণেই ছেলেকে ভর্তিও করেছেন। তাঁরও প্রশ্ন, “ম্যাডাম এটা কেন করলেন? উনি তো অন্য শাস্তি দিতে পারতেন।” স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার বলেন, “খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। স্কুল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। মাঝে গরমের ছুটিও অনেকদিন ছিল। আমরা চাইছি, ছাত্ররা বেশি করে স্কুলে আসুক। স্কুলের যে একটা আলাদা জীবন, সেটা ওরা উপভোগ করুক। সেখানে এই ধরনের ঘটনা আমাদের স্কুলে ঘটল, এটা সত্যিই খারাপ লাগার। তবে আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এ ধরনের ঘটনা যাতে আমাদের স্কুলে ভবিষ্যতে না ঘটে তার জন্য সমস্তরকম ব্যবস্থা নেব।”

যদিও থানায় অভিযোগ দায়েরের পরই ওই ছাত্রের বাড়িতে যান অভিযুক্ত শিক্ষিকা। বলেন, আঘাত এতটা গভীর জেনে তিনিও কষ্ট পেয়েছেন। কথা বলতে বলতে পড়ুয়ার মাকে বুকে জড়িয়েও ধরেন তিনি। বলতে থাকেন, “যতটা ও আপনার সন্তান, ততটাই ও আমার সন্তান।” যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি ‘ম্যাডাম’।

কলকাতা: দিদিমণির মারে হাতে দগদগে কালশিটে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের। অভিযোগ, হোমওয়ার্ক না করায় মারধর করেন স্কুলের শিক্ষিকা। তার ফলেই ছোট্ট হাত দু’টোর এমন অবস্থা। অভিযোগের আঙুল শহরের নাম করা যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের দিকে। শুধু হাতেই নয়, ওই ছাত্রের পায়েও কালশিটে পড়ে গিয়েছে বলে দাবি তার মায়ের। ছাত্রের মায়ের অভিযোগ, বাড়ি ফেরার পরই ছেলে বমি করতে শুরু করে। আতঙ্কে স্কুলে যেতেও চাইছে না সে। এরপরই ছেলে নিয়ে ডাক্তারের কাছে ছোটেন মা। একইসঙ্গে লেক থানায় অভিযোগও দায়ের করেন ওই ছাত্রের বাবা।

ওই ছাত্রের কথায়, “দিদিমণি অঙ্কের খাতা দেখছিলেন। আমার হোমওয়ার্কটা করা হয়নি। তাই মেরেছেন। খুব লেগেছে।” ছাত্রের মায়ের অভিযোগ, দিদিমণি, মাস্টারমশাইরা তো শাসন করবেনই। কিন্তু তা বলে এভাবে? তাঁর কথায়, “বাচ্চারা না পড়ে দুষ্টুমি করলে ওনারাই তো শাসন করবেন। সেটাই তো স্বাভাবিক। আমরা মা, বাবারাও তো শাসন করি। আমরাও চাই স্কুলে শাসন থাকুক। এর আগেও ছোট-বড় কিছু স্কুলে হলে আমি যাইনি। আমি জানি আমার বাচ্চারই অন্যায়। উনি শাসন করেছেন। সে কারণে ছেলে আমার সঠিক পথেই চলবে। কিন্তু শাসনের মাত্রা যদি এই হয়, তারপর দিন কোন ভরসায় আমি ওইটুকু ছেলেকে স্কুলে পাঠাই বলুন তো? কাল যে আরও বেশি কিছু হবে না আমার বাচ্চার, কে বলবে?”

ওই ছাত্রের বাবা বলেন, তাঁর স্কুলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। শহরের অন্যতম নামকরা স্কুল। পঠনপাঠনও সেখানে সত্যি ভাল হয়। সে কারণেই ছেলেকে ভর্তিও করেছেন। তাঁরও প্রশ্ন, “ম্যাডাম এটা কেন করলেন? উনি তো অন্য শাস্তি দিতে পারতেন।” স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে, এ ধরনের ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের প্রধান শিক্ষক অমিত সেন মজুমদার বলেন, “খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। স্কুল দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল। মাঝে গরমের ছুটিও অনেকদিন ছিল। আমরা চাইছি, ছাত্ররা বেশি করে স্কুলে আসুক। স্কুলের যে একটা আলাদা জীবন, সেটা ওরা উপভোগ করুক। সেখানে এই ধরনের ঘটনা আমাদের স্কুলে ঘটল, এটা সত্যিই খারাপ লাগার। তবে আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এ ধরনের ঘটনা যাতে আমাদের স্কুলে ভবিষ্যতে না ঘটে তার জন্য সমস্তরকম ব্যবস্থা নেব।”

যদিও থানায় অভিযোগ দায়েরের পরই ওই ছাত্রের বাড়িতে যান অভিযুক্ত শিক্ষিকা। বলেন, আঘাত এতটা গভীর জেনে তিনিও কষ্ট পেয়েছেন। কথা বলতে বলতে পড়ুয়ার মাকে বুকে জড়িয়েও ধরেন তিনি। বলতে থাকেন, “যতটা ও আপনার সন্তান, ততটাই ও আমার সন্তান।” যদিও সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি ‘ম্যাডাম’।

Next Article