কলকাতা: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রবিবার মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সেই ধর্নামঞ্চে পৌঁছনো নিয়ে সকাল থেকেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধী দলনেতা অভিযোগ তোলেন, তাঁকে পুলিশি বাধার মুখে পড়তে হয় তমলুকে। যদিও পরে বহু তর্ক বিতর্ক পার করে বিকেল সাড়ে তিনটে চারটে নাগাদ ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এসে পৌঁছন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে পৌঁছেই রাজ্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন নন্দীগ্রামের এই বিজেপি বিধায়ক। হুঁশিয়ারি দেন, সোমবার আদালতে যাচ্ছেন তাঁরা। শুভেন্দুর বক্তব্য, সরকারের উচিৎ বিশেষ বিশেষ পরিস্থিতিতে রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে পদক্ষেপ করা। কিন্তু এ রাজ্যের তৃণমূল সরকার তা করছে না।
এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “আগামিকাল আমরা আদালতে গিয়ে ওই পার্টি অফিসে যাব। বিজেপি একটা গণতান্ত্রিক দল। অমিত শাহজি যখন শিলিগুড়িতে এসেছিলেন, বলেছিলেন এক বছর সময় দিয়েছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধরোননি। তাই আমরা যা করার করব। নাড্ডাজিও বলে গিয়েছেন বেশি সময় লাগবে না। তাঁরা যা ভাবার ভাবছেন। আজ আমার সঙ্গে, সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে যা করেছে, ওদের সঙ্গে আমরা তা করব না। ভগবান করবে। আমরা ঈশ্বরে বিশ্বাস করি।”
একইসঙ্গে এদিন গয়েশপুরে বোমাবাজির ঘটনা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “বোমাবাজিটা এ রাজ্যে কুটির শিল্প হয়ে গিয়েছে। কয়েকদিন আগে কাটোয়ায় দেখলেন না অনলাইনে বোমা সাপ্লাই করা হচ্ছে। ভয়ঙ্কর অবস্থা। আর উনি ঘুমোচ্ছেন। লজ্জা লাগে না। হাত জোর করে বলছেন থামো থামো থামো। এ কেমন মুখ্যমন্ত্রী? এই সময় বাংলা আইএস, আইপিএসদের ছেড়ে দিক আর আধাসেনা মোতায়েন করুক। এটা উচিৎ। এটা সেই সময়, রাজনীতির ঊর্ধ্বে গিয়ে যখন কাজ করার কথা।”