কলকাতা: দুই কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হল। বৃহস্পতিবার এই মামলা দায়ের করেন কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস। মামলাকারীর আর্জি, সিবিআই দিয়ে এই দুই খুনের ঘটনার তদন্ত করানো হোক কিংবা সিট গঠন করে আদালতের পর্যবেক্ষণে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হোক। আগামী সপ্তাহে এই মামলার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত রবিবার রাজ্যের দুই পুর এলাকার দু’জন কাউন্সিলরকে গুলি করে খুনের অভিযোগ ওঠে। একজন পানিহাটির কাউন্সিলর, অন্যজন ঝালদার। এর পর পরই কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ঘরে আইনজীবী রবিশঙ্কর চট্টোপাধ্যায় এ সংক্রান্ত বিষয় উত্থাপন করেছিলেন। সমস্ত পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছিলেন, এটা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক একটা পরিস্থিতি। আদালত এ ক্ষেত্রে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পদক্ষেপ করুক, এমন আর্জিও রেখেছিলেন। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বলেছিলেন, মামলাটি তিনি শুনবেন যদি যথাযথ নিয়ম মেনে তা দায়ের করা হয়।
এরপরই বৃহস্পতিবার আইনজীবী অনিন্দ্যসুন্দর দাস এ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন। তাঁর বক্তব্য, রাজ্য পুলিশের পক্ষে এই ধরনের তদন্ত করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। দুই কাউন্সিলর খুন হয়েছেন। এক্ষেত্রে স্পেশাল ইনভেস্টিগেটিভ টিম (SIT) বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই তদন্ত করুক, আর্জি তাঁর। আগামী সপ্তাহেই এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনুপম দত্তকে গত রবিবার সন্ধ্যায় গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়ে, এক যুবক পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে কাউন্সিলরের মাথার পিছনে গুলি চালাচ্ছেন। অভিযুক্তকে গ্রেফতারও করা হয়। এরপর ক্রমেই তদন্ত এগোচ্ছে নানা প্রশ্ন উস্কে দিয়ে। উঠে এসেছে পুরনো শত্রুতার তত্ত্বও।
অন্যদিকে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকেও খুনের অভিযোগ ওঠে গত রবিবার। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে। নিহত কাউন্সিলরের বেশ কয়েকজন পরিচিতের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে তপন কান্দু তাঁর দাদা নরেন কান্দুর সঙ্গে ভোটের আগে বাজি ধরেছিলেন। গণনার আগে ৫ লক্ষ টাকার এই বাজি ধরা হয়। এদিকে ভোটে তপন কান্দু জিতে যাওয়ায় বড় ধাক্কা খান নরেন কান্দু।
আরও পড়ুন: WB CPIM: সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, রাজ্য কমিটিতে শতরূপ-মীনাক্ষী-সৃজন