কলকাতা: রাজনীতির কারবারিরা বলেন, সাজগোজ, কথার কেত কিংবা বিভিন্ন কার্যকলাপে নিজেকে প্রচারে ভাসিয়ে রাখতে সিদ্ধহস্ত মদন মিত্র। বিভিন্ন সময় কামারহাটির এই তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে হইহই পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। তবে রবিবার পিতৃতর্পণে বাবুঘাটে গিয়ে মদন মিত্র যা করলেন, তাতে দলকে যে পাশে পাচ্ছেন না, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের বক্তব্যে তা স্পষ্ট। বাবুঘাটে তর্পণ করতে গিয়ে মদন মিত্র এদিন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ ও বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ছবিতে মালা দিয়েছেন। ইতিমধ্য়েই বিজেপি এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে।
এবার মদন মিত্রের তর্পণ এবং দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারীর ছবিতে মাল্যদান প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণাল বলেন, “বিজেপি বিরোধিতা তো ঠিকই আছে। বিজেপি বিরোধিতা করে তর্পণও ঠিক আছে। কিন্তু তার জন্য এই দু’জনের গলায় মালা দেওয়ার কী প্রয়োজন পড়ল সেটা আমি বুঝলাম না। আমি যদি ওনার জায়গায় থাকতাম অবশ্যই এরকমভাবে মালা দিতাম না।”
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক চমক দিয়েছেন মদন মিত্র। কখনও বা ভোটের আগে গান গেয়েছেন, কখনও আবার পুজোয় বেরিয়েছে তাঁর ‘সিঙ্গল’। রাজনৈতিক মহলের কথায়, রং বেরঙের পোশাক পরে বাক্যবোমায় বিখ্যাত হয়ে প্রচারে ভেসে থাকতে ভালইবাসেন ‘মদনদা’। তবে বিজেপি রাজনৈতিকভাবে প্রয়াত হবে, তার তর্পণ করছেন মদন মিত্র, এই বার্তা পৌঁছে দিতে গিয়ে শুভেন্দু এবং দিলীপ ঘোষের ছবিতে মালা দিয়ে বসেন।
এদিন বাবুঘাটে দাঁড়িয়ে মদন মিত্র বলেন, “তাঁরা বেঁচে থাকুন। সপরিবারে সুস্থ থাকুন। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির যে অপমৃত্যু ঘটতে চলেছে তারপর ওদের তর্পণ করার মতো আর লোক পাওয়া যাবে না। আগাম আমি বিজেপির রাজনৈতিক অপমৃত্যুর তর্পণ করে গেলাম।” রসিয়ে রসিয়ে এ নিয়ে মদনকে বেঁধেন দিলীপ ঘোষ। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি বলেন, “কেউ যদি আমাদের বাপ ঠাকুরদা মনে করেন, আমরা না বলব কেন। কিন্তু এরকম উচ্ছন্নে যাওয়া ছেলে আমরা ভাবিনি কোনওদিন। এরা আমাদের পূর্ব পুরুষ মনে করলে কষ্ট হয় মনে। বেশিরভাগ সময় তো ঠিক থাকে না কী করছে।”