কলকাতা: কোথাও জুটছে ব্রেকফাস্ট-ভরপেট লাঞ্চ (Tiffin), কোথাও আবার কেবল কেক-বিস্কুট কলা (Tiffin)! প্রশিক্ষণ শিবিরে খাবারে (Tiffin) ‘বৈষম্যের’অভিযোগ করলেন ভোটকর্মীদের (Voting Staff) একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, প্রশিক্ষণের সময়ে সরকার মাথা পিছু ১৭০ টাকা বরাদ্দ করেছে। কেক-কলা বিস্কুট খাওয়ালে বাকি টাকা যাচ্ছে কোথায়?
আলিপুরদুয়ারে, মঙ্গলবার সকালে টিফিন (Tiffin) বিতর্ক নিয়ে বিক্ষোভে নামেন ভোট কর্মীরা (Voting staff)। গত সোমবার থেকে আলিপুরদুয়ার ম্যাকউইলিয়াম উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। দুদিন ধরে তাঁদের ৪০ টাকার টিফিন দেওয়া হয়েছে। তাতে, পাতে পড়েছে চকোলেট, ফ্রুটি, লাড্ডু, বিস্কুট। অথচ, বাকি ১৩০ টাকার হিসেব নেই। এর জেরে প্রায় এক ঘণ্টা বিক্ষোভ করেন ভোট কর্মীরা। নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত এডিএম ও অন্যান্য আধিকারিকরা জানান, বাকি টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে ভোট কর্মীদের অ্যাকাউন্টে।
আরও পড়ুন: ‘দলে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না,’ আরও এক নেতার তৃণমূল ত্যাগ
প্রায় একই ছবি দেখা যায় মালদায়। ইংরেজবাজারের অক্রুরমণি করোনেশন ইনস্টিটিউশন ও চাঁচোলের সিদ্ধেশ্বরী ইন্সটিটিউশনে ১৭০ টাকার টিফিনের (Tiffin) বদলে ১৮ টাকার টিফিন দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিক্ষোভে নামেন ভোটকর্মীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্কুলে পৌঁছন গাজোলের বিডিও উষ্ণতা মোক্তান। তাঁর আশ্বাস পেয়েই তখনকার মতো বিক্ষোভ উঠে যায়।
আরও পড়ুন: ‘ধৃতরাষ্ট্রের মতো মমতাও পুত্র স্নেহে অন্ধ ছিলেন…’
অন্যদিকে, নদিয়া, বর্ধমানের স্কুলগুলিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ভোট কর্মীদের (Voting Staff) টিফিন (Tiffin) নিয়ে কোনও সমস্যাই হয়নি। তাঁরা টিফিন ও লাঞ্চ দুটোই পেয়েছেন। দক্ষিণ কলকাতার স্কুলগুলিতে চা-বিস্কুট ছাড়াও বিরিয়ানি ফ্রায়েড রাইসের ব্যবস্থা ছিল।
উল্লেখ্য, এবার কোভিড পরিস্থিতির জন্য ভোটকেন্দ্র ও বুথের সংখ্যা বেড়েছে। ক্রমবর্ধমান ভোট কর্মীর (Voting Staff) সংখ্যাও। নিয়ম মেনেই ভোট কর্মীদের প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণের দায়িত্বে থাকা জেলাস্তরের এক আধিকারিকের বক্তব্য, বরাদ্দের নির্দেশিকা ২২ ফেব্রুয়ারি জারি করা হয়েছে। তার আগেই এক দফা প্রশিক্ষণ হয়ে গিয়েছে। তাই ব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্ত ছিলেন। আগামী প্রশিক্ষণ থেকে এই সমস্যা থাকবে না এমনটাই জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।