কলকাতা: আগামী ৪৮ ঘণ্টায় কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। বৃহস্পতিবারের পাশাপাশি শুক্রবারও মহানগরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। আগামী দু’ থেকে তিন ঘণ্টার মধ্যে পশ্চিম বর্ধমান ও মুর্শিদাবাদে ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে হাওয়া বইবে। হাওয়া অফিস জানিয়েছে, ৪ মে আন্দামান সাগরের উপর যে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে তা শুক্রবার নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর ৪৮ ঘণ্টা পর উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে গভীর নিম্নচাপের রূপ নেবে। গভীর নিম্নচাপ শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয় কি না সেটাই আশঙ্কা।
ইতিমধ্যেই সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। ৮, ৯, ১০ মে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে। নবান্নের থেকে বার্তা পাওয়ার পর দফায় দফায় বৈঠকও করছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আন্দামান সাগরে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। ৬ মে এই ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপ ও ৮ মে গভীর নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে পারে। এগোতে পারে উত্তর-পশ্চিম দিকে। তেমনটা হলে পূর্ব উপকূলে পৌঁছনোর আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
মে মাস এমনিতেই বাংলার বরাতে দুর্যোগের ইতিহাস লিখেছে। হাওয়া অফিস সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য বলছে ১৯২৭ সাল, ১৯৩২, ১৯৩৬, ১৯৫৬, ১৯৬০, ১৯৮৯ মে মাসে ঘূর্ণিঝড় দেখে রাজ্য। ২০০৯ সালে ২৫ মে আয়লা এসেছিল। ২০২০ সালে তোলপাড় করেছিল আমফান। সেই ২০ মে’র স্মৃতি এখনও টাটকা। ২০১৯ সালে ফণী, ২০২১ সালে ইয়াস – সবই হয়েছে মে মাসে। আর এতেই আশঙ্কা বাড়ছে আবহাওয়াবিদদের। তবে এ কথাও ঠিক, গভীর নিম্নচাপ মানেই তা ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেবে এমন নয়। তবে টানা নজরদারি চলবে হাওয়া অফিসের।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ঝড় বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এরপর বৃষ্টির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমবে। তবে এখনই নতুন করে তাপমাত্রা বাড়ার সম্ভাবনা নেই। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে আগামী ৭২ ঘণ্টা। তিনদিন পর উত্তরেও বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।