কলকাতা: উচ্চমাধ্যমিকে অকৃতকার্য হতেই রাস্তা অবরোধ, ধর্না, বিক্ষোভ দিকে দিকে। পাশ করিয়ে দিতেই হবে, এই দাবি নিয়ে পথে বসেছেন পাশ করতে না পারা পরীক্ষার্থীরা। চরম হুঁশিয়ারিও দিয়েছে কেউ কেউ। তাদের বক্তব্য, করোনার সময় পরীক্ষা হয়নি, অথচ ১০০ শতাংশ পড়ুয়া পাশ করেছে। তাই তাদেরও পাশ করাতে হবে। তবে এই দাবি যে মোটেই বাড়তি গুরুত্ব পাবে না, সোমবার তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, করোনার সময় কী হয়েছে, সেটাকে যদি চিরাচরিত অভ্যাস হিসাবে কেউ ধরে নেয়, তা হলে ভুল হবে। বরং তাঁর পরামর্শ, আগামী বছরের জন্য প্রস্তুতি নিক অকৃতকার্য ছাত্র ছাত্রীরা।
এদিন ব্রাত্য বসু বলেন, “এ বছর ৮৮ শতাংশ পাশ করেছে। সব পরীক্ষায় কি ১০০ শতাংশ পাশ করতে পারে? কোভিডের সময় সারা পৃথিবীজুড়ে কী অবস্থা। ১০০ বছর পর এরকম একটা ঘটনা ঘটে। পরীক্ষা হয়নি, ১০০ শতাংশ পাশ হয়েছে। কিন্তু এটা তো প্র্যাকটিস হতে পারে না। পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হচ্ছে, তখনও ১০০ শতাংশ পাশ করবে? যারা এই ধরনের আন্দোলন করছে, আমি অনুরোধ করব আন্দোলন প্রত্যাহার করে সামনের বছর ভাল করে প্রিপারেশন নিক।”
সোমবার পাশ করানোর দাবিতে বিকাশ ভবন অভিযানে যায় পড়ুয়ারা। যদিও পুলিশ ইন্দিরা ভবনের কাছে তাদের আটকে দেয়। তাদের বক্তব্য ছিল, মাধ্যমিকে প্রচুর নম্বর পেয়ে পাশ করার পরও উচ্চমাধ্যমিকে ফেল করে যায়। অনলাইনে পড়াশোনা করতে বহু বেগ পেতে হয়েছিল তাদের। মোবাইল ফোন দেওয়া হলেও, রিচার্জের টাকা দেওয়া হয়নি। এদিকে পরিবারের সামর্থ ছিল না ফোন রিচার্জ করিয়ে দেওয়ার। দুঃস্থ পরিবারের ছেলে মেয়েদের কথা ভাবা হয়নি বলে অভিযোগও তোলে তারা।