Newtown Case: দরজা ঠেলতেই যুবককে ভয়ঙ্কর অবস্থায় দেখলেন বাড়ির মালিক, কেউ টেরই পাননি কিছু…
Newtown: শীর্ষেন্দু দে (৪০) নামে ওই যুবকের বাড়ি বারাসতের টাকি রোডে। নিউটাউনে কাজের সূত্রে থাকতেন তিনি।
কলকাতা: নিউটাউনে (Newtown) ভাড়া থাকতেন বছর চল্লিশের যুবক। মালিক থাকেন অন্য জায়গায়। ঘরভাড়ার টাকা না পেয়ে বুধবার হাজির হন আবাসনে। কিন্তু সে সময় ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। বহু ডাকাডাকির পর সাড়াশব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেন। এরপরই পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে শীর্ষেন্দু দে নামে ওই যুবকের নিথর দেহ উদ্ধার (Body Recover) করে। নিউটাউন সাপুরজি আবাসনের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। টেকনো সিটি থানার পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহটি পচাগলা অবস্থায় উদ্ধার হয়। এমন কিছু যে ঘটেছে, পড়শিরা টেরও পাননি।
শীর্ষেন্দু দে (৪০) নামে ওই যুবকের বাড়ি বারাসতের টাকি রোডে। নিউটাউনে কাজের সূত্রে থাকতেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যাঁর ফ্ল্যাটে শীর্ষেন্দু ভাড়া থাকতেন তিনি বেশ কিছুদিন ধরেই বকেয়া টাকার জন্য তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন। বারবার ফোন করলেও যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। এরপরই বুধবার সাপুরজিতে যান তিনি।
মালিকের সঙ্গে ঘরের ডুপ্লিকেট চাবি ছিল। তা দিয়ে বাইরে থেকে তালা খুলতে পারলেও ভিতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় গৃহকর্তার। টেকনো সিটি থানায় বিষয়টি জানান তিনি। এরপরই পুলিশ এসে দরজা ভেঙে দেখে ওই যুবক পড়ে রয়েছে। দেহে পচনও শুরু হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। কী কারণে এই মৃত্যু তা স্পষ্ট নয়। ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ওই যুবকের পরিবারের লোকজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। ওই যুবক পারিবারিক কোনও সমস্যায় ভুগছিলেন নাকি কাজের জায়গায় বা ব্যক্তিগত পরিসরে কোনও সমস্যা ছিল তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই পরিণতি আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কিছু রয়েছে, সবদিক খোলা রেখেই চলছে তদন্ত।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal at Woodburn Block: উডবার্নে ভর্তি হওয়ার কিছু নিয়ম আছে, আদৌ মানলেন অনুব্রত?