কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে আলোড়ন আবহেই বিধানসভায় পাশ হয়েছিল ‘অপরাজিতা’ বিল। সেই বিল এখনও কার্যকর করা গেল না। দ্রুত কার্যকর করা হোক। সোমবার সর্বভারতীয় স্পিকার সম্মেলনেও সে প্রসঙ্গ তুললেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
ধর্ষণ মোকাবিলায় ‘অপরাজিতা’ বিল পাশ করেছে রাজ্য সরকার। তারপরেও কেন এই বিল দ্রুত কার্যকর করা যাচ্ছে না? প্রশ্ন উঠছেই। তবে বিল শেষ পর্যন্ত আইনিভাবে কার্যকর হবেই বলে এদিনের সম্মেলনে আশা প্রকাশ করেছেন স্পিকার। সূত্রের খবর, বিধানসভায় পাশ হয়ে যাওয়ার পরে ‘অপরাজিতা’ বিল- সহ ২০টি বিল আটকে রয়েছে। আইন করা যায়নি। সেক্ষেত্রে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়েও কাটাছেঁড়া করেছেন স্পিকার।
পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির ‘তৎপরতা ‘ নিয়েও এদিনের সম্মেলনে সরব হয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, এজেন্সির তৎপরতা কখনও কখনও জন প্রতিনিধিদের কাজের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে উদাহরণ স্বরূপ স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে আসা এক বিধায়কের প্রসঙ্গ তোলেন স্পিকার। বাড়িতে এজেন্সি পৌঁছেছে শুনে বিধানসভার বৈঠকের শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বেরিয়ে যান ওই বিধায়ক। এমনকি, তল্লাশির নামে হেনস্থা করা হচ্ছে। যার ফলে ওই জনপ্রতিনিধিদের সম্মানহানি হচ্ছে বলেও এদিনের বৈঠকে আক্ষেপের সুরে উল্লেখ করেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘটনাচক্রে, সোমবার দীর্ঘ সাত ঘণ্টার বেশি সময় আর জি করের ঘটনা নিয়ে সিবিআইয়ের দফতর সিজিও কমপ্লেক্সে ছিলেন বিধানসভার শাসক দলের চিফ হুইপ বা মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। তাঁকে তলব করেছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। যদিও পানিহাটির বিধায়কের দাবি, আপ্যায়মেন্ট ‘ফিক্স’ করেই এসেছিলেন সিজিওতে।