Congress: মমতার ভাষা-সন্ত্রাস অভিযোগ নিয়ে পাল্টা অধীরের, আবার ইশা বললেন…
Congress: ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থা ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ইশা খান চৌধুরী। শুক্রবার তিনি বলেন, "ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থা ইস্যু নিয়ে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছ পর্যন্ত যাব। কারণ, এটা মানবাধিকার ইস্যু। ভারতীয় নাগরকিত্বের অধিকারের বিষয়। এটা শুধু বাঙালিদের বিষয় নয়।"

কলকাতা: দু’জনই কংগ্রেস নেতা। একজন মালদহ দক্ষিণের সাংসদ। অন্যজন বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থা ইস্যুতে কি তাঁরা দুই মেরুতে? বাংলাভাষীদের হেনস্থা ইস্যুতে মালদহ দক্ষিণের সাংসদ ইশা খান চৌধুরি ও বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরীর মন্তব্যের পর এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কী বলেছেন তাঁরা?
ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থা ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ইশা খান চৌধুরী। শুক্রবার তিনি বলেন, “ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থা ইস্যু নিয়ে প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছ পর্যন্ত যাব। কারণ, এটা মানবাধিকার ইস্যু। ভারতীয় নাগরকিত্বের অধিকারের বিষয়। এটা শুধু বাঙালিদের বিষয় নয়। মালদহ, মুর্শিদাবাদের বিষয় নয়। এটা এখন জাতীয় ইস্যু। এটা আমার খারাপ লাগছে। শুধু বাঙালিদের ধরা হচ্ছে কেন? তাহলে রাজস্থানের লোকদের ধরো। মুম্বইয়ের লোক ধরো। শুধু বাংলাভাষীদের কেন ধরা হচ্ছে? এই সরকারকে জবাব দিতে হবে। এটা বেআইনি হচ্ছে। ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে।”
বিজেপি ও কেন্দ্রকে তোপ দেগে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে যা চলছে, সেটা বাংলাদেশে চলছে। আমাদের বাংলার লোকেরা কেন ভুক্তভোগী হবে? আসলে ভোটের আগে ধর্ম নিয়ে খেলছে বিজেপি।” তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি এই ইস্যুতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করছেন?এই নিয়ে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, “আমি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি একই কথা বলি, তাহলে তো সেটা ভাল।”
ভিনরাজ্যে বাংলাভাষীদের হেনস্থা ইস্যুতে বিজেপির বিরুদ্ধে ভাষা-সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছেন মমতা। এই নিয়ে বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ তথা প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরি বলেন, “ভাষা-সন্ত্রাস তো আমরা দেখছি না কোথাও। ভোটের জন্য মমতা গল্প তৈরি করছেন। আমরা বাংলাতে কথা বলি, সব জায়গাতে বাংলাতেই কথা বলব। আপনাদের সাংসদদের বলুন সংসদে বাংলায় বক্তব্য রাখতে।” এরপরই তিনি বলেন, “কাউকে বাংলায় কোথা বলতে দেখে তিনি এ রাজ্যের না বাংলাদেশের নাগরিক, তা বুঝতে ব্যর্থ বাইরের রাজ্যের পুলিশ। তার জন্য প্রতিবাদ হচ্ছে। তার জন্য আপনাকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। আপনি যান। বলুন, ভুল হচ্ছে। কিন্তু, আপনি যে হাওয়া তুলছেন ভাষা-সন্ত্রাস বলে, এর সঙ্গে ভাষা-সন্ত্রাসের কোনও সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না।”

