কলকাতা: কাঁথি পুরসভা থেকে সারদার ফাইল (Sarada File) উদ্ধারের ঘটনায় ইতিমধ্যেই জোরদার তদন্তে নেমেছে কাঁথি থানার পুলিশ (Kanthi Police)। ইতিমধ্য়েই অধিকারী পরিবারের ঘনিষ্ঠ কাঁথি পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ চুয়ানকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে তাঁকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তল্লাশির কথা জানিয়েছিলেন কাঁথির পুলিশ আধিকারিক সোমনাথ সাহা। অন্যদিকে শীঘ্রই তাঁকে সুদীপ্ত সেনকে জেরা পারে কাঁথি থানার পুলিশ। এ খবর আগেই শোনা গিয়েছিল। যা নিয়ে ব্যাপক চাপানউতর শুরু হয়েছিল রাজনৈতিক মহলেও। অবশেষে রবিবার এই জেরার কাজ চলে। এদিন প্রেসিডেন্সি জেলে সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে(Sudipta Sen) জেরা করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। ছিলেন কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস।
সূত্রের খবর, এদিন প্রায় তিন ঘণ্টা কুড়ি মিনিট টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সুদীপ্ত সেনকে। প্রসঙ্গত, এর আগে সুদীপ্ত সেন একাধিকবার দাবি করেছিলেন তিনি টাকা দিয়েছিলেন শুভেন্দুকে। যদিও বর্তমানে শুভেন্দু বিজেপিতে থাকলেও যে সময় টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে তখন তিনি তৃণমূলেই ছিলেন। যদিও সুদীপ্তর দাবি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে আগেই শুভেন্দু বলেন, “আমি যাতে তৃণমূল না ছাড়ি সেজন্য ২০২০ সালের ২ ডিসেম্বর আমার সঙ্গে বৈঠক করেছিল। পরদিন সুদীপ্ত সেনকে দিয়ে চিঠি লেখানো হয়েছে।”
জেরা শেষে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে কাঁথি থানার আইসি অমলেন্দু বিশ্বাস বলেন, “আমাদের তদন্ত চালাকালীন এমন কিছু তথ্য উঠেছিল যা খতিয়ে দেখতে সুদীপ্ত সেনকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন ছিল। আজ সেটাই আমরা করেছি। আজকে জিজ্ঞাসাবাদের পর এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আমরা পেয়েছি যাতে দেখা যাচ্ছে সে সময় অনেক বেআইনি লেনদেন হয়েছিল। যাতে কাঁথির অনেকেই যুক্ত ছিলেন। তাঁরা কোনও না কোনও ভাবে উপকৃত হয়েছে। তদন্ত আরও এগোলে আরও বিশদে এ বিষয়ে জানতে পারব। আগামী ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্য়ে সমস্ত বেআইনি লেনদেনের বিষয়ে জানতে পারব। কীভাবে সারদা ফাইল চুরি গেল তাও জানতে পারব।” তবে এদিন পুলিশের সঙ্গে সুদীপ্ত সেন সর্বতভাবেই সাহায্য করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। অন্যদিকে শুভেন্দু-সৌমেন্দুর সঙ্গে সুদীপ্তর লেনদেনের প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে কাঁথি থানার আইসি জানান, আমরা অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। ধীরে ধীরে সব জানতে পারবেন।