Anirban Bhattacharya’s Song: অনির্বাণের ‘হুলিগানিজ়মে’ ঘায়েল বাংলার ৩ ঘোষ, ‘হজম করে’ কী বললেন কুণাল-শতরূপরা?
Kunal-Shatarup: খানিক র্যাপের আঙ্গিকে পুরোদস্তর 'হুলিগানিজ়মের' চেনা পোশাকে তখন মঞ্চ কাঁপাচ্ছিলেন অনির্বাণ। লিরিক্সের ছত্রে ছত্রে রাজনীতির শুধু ছোঁয়া নয়, এক্কেবারে সরাসরি রাজনীতির কাবারিদের নাম নিয়ে টানাটানি।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ, জয়িতা চন্দ্র
কলকাতা: রবিবার ‘হুলিগানিজ়মের’ শো ছিল মিলনমেলা প্রাঙ্গনে। সেখানেই গান গেয়ে এক্কেবারে বিতর্কের ঝড় তুলে দিয়েছেন অভিনেতা, গীতিকার, গায়ক অনির্বাণ ভট্টাচার্য। ‘তিন ঘোষেকে’ গেঁথে ফেলেছেন এক সুতোয়। কুণাল ঘোষ, দিলীপ ঘোষ তো আছেনই, ছাড় পেলেন না শতরূপও। আর তাতেই গান-বিতর্ক মিলেমিশে একাকার। ফেসবুকেও ভাইরাল। রাজনীতির আঙিনাতেও ভাইরাল। কেউ বলছেন ‘সাহস আছে’। কেউ দেখছেন বাঁকা চোখে।
খানিক র্যাপের আঙ্গিকে পুরোদস্তর ‘হুলিগানিজ়মের’ চেনা পোশাকে তখন মঞ্চ কাঁপাচ্ছিলেন অনির্বাণ। লিরিক্সের ছত্রে ছত্রে রাজনীতির শুধু ছোঁয়া নয়, এক্কেবারে সরাসরি রাজনীতির কাবারিদের নাম নিয়ে টানাটানি। একটা করে নাম বলছেন, আর মঞ্চের সামনে ফেটে পড়ছে ব্যান্ডপ্রেমী জনতা। গানের মধ্য়েই অনির্বাণ বলে উঠলেন, “এসব গান বাজনা ছাড়, চল প্রোমোটারি করি, বড় গাড়ি চড়ি, ইলেকশনের মেজাজ বুঝে দলটা বদল করি!” তার পরের লাইনেই বললেন, “গান-বাজনা করতে এসে এসব কথা বললে, রেগে যাবে… রেগে যাবে… রেগে যাবে কুণাল ঘোষ!”
‘হুলিগানিজ়মের’ গান শুনে কুণাল ঘোষ যদিও বলছেন তাঁর ভালই লেগেছে। ভিডিয়ো ক্লিপিং তুলে পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মাধ্যমেও। সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করে বললেন, “অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যর নতুন ব্যান্ড ‘হুলি-গান-ইজম’ এর গানের অংশ। আমার মজা লেগেছে, ভালো লেগেছে। গানের ধরন, উপস্থাপনাও উপভোগ করলাম। একটু তির্যক? তাতে কী! কুণাল ঘোষ এসব মজা নিতে জানে। ভালো থেকো অনির্বাণ।”
কী বলছেন রাজনীতির কারবারিরা?
শুধু কুণাল নয়, অনির্বাণের গান একহাত নিয়েছে দিলীপ ঘোষকেও। গান কথা তখন বলে উঠল, “ভাই আর এক ঘোষও আছে। দাদা খুবই রোম্যান্টিক। ঘোষ দিয়ে যায় চেনা। গয়না-দোকান সব তুলে দাও গরুর দুধে সোনা!” মঞ্চের সামনে তখন এসে গড়াগড়ি খাচ্ছে উদ্বেল জনতার ঢল। আর ঠিক তখনই পাশ থেকে সহ শিল্পী গেয়ে বলেন, ভাই আরও এক ঘোষও আছে। র্যাপের ঢঙে অনির্বাণ জানতে চাইলেন কে কে? আর তখনই অনির্বাণের সহ-শিল্পী গেয়ে ওঠেন, “ওটা বিপ্লবীদের পার্টি, আর এক ঘোষও আছে। টিভির চ্যানেল পার্টি অফিস বড্ড হাঁটাহাঁটি। তাই কিনেছে গাড়ি। দামটা বেশি খুব, ফেসবুকেতে রাজা মোদের দাদা শতরূপ।” তা নিয়েও বিস্তর হাসি-মজা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ যদিও বলছেন, “নতুন একটা গানের ব্যান্ড যেভাবে সোশ্যিও পলিটিক্যাল স্যাটায়ার করল সেটা আমার খুব ভাল লেগেছে। আমরা সবসময় চাই আর্টিস্টরা পলিটিক্যাল স্ট্যান্ড নিক। রাজনৈতিক মতামত থাক। আমার নাম নিয়েছে আমি তো কৃতজ্ঞ। তাতে যদি কোনও তির্যকতা থেকে থাকে আমরা মনে করি আমাদের সমালোচনা শিল্পের মাধ্যমে উঠে আসতেই পারে। শিল্প তো একটা আয়না।” টিভি৯ বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল অনির্বাণ ভট্টার্যের সঙ্গেও। তিনি যদিও স্পষ্ট বলেন, ‘এই বিষয় আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’
