POK Recapture: ভোটের আগে কীভাবে দখল হতে পারে POK? কী বলছেন প্রাক্তন সেনাকর্তারা

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Dec 17, 2023 | 2:41 PM

মোদী-শাহের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বে POK-র পুনর্দখল হওয়া অসম্ভব নয় বলেও মনে করেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ। কিন্তু পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে গেলে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে তা ছিনিয়ে নিতে হবে। সেই কাজ কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে? এ নিয়ে নিজেদের মতামত টিভি৯ বাংলাকে জানিয়েছেন দেশের প্রাক্তন দুই সেনাকর্তা।

Follow Us

কলকাতা: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর দখলের কথা সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক বার শোনা গিয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে জানিয়েছেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য নির্বাচনী আসন সংরক্ষণের কথা। টিভি৯ বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বলেছেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কোনওদিন সকালে উঠে দেখতে পারেন ভারতের পতাকা উড়ছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।” মোদী-শাহের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বে POK-র পুনর্দখল হওয়া অসম্ভব নয় বলেও মনে করেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ। কিন্তু পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে গেলে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে তা ছিনিয়ে নিতে হবে। সেই কাজ কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে? এ নিয়ে নিজেদের মতামত টিভি৯ বাংলাকে জানিয়েছেন দেশের প্রাক্তন দুই সেনাকর্তা।

পাকিস্তানের কবল থেকে কাশ্মীরের ওই অংশকে মুক্ত করতে সেনা অভিযানের সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল বাবুল চন্দ বলেছেন, “আমি ১০ বছর আগের কথা বলছি। ওই এলাকায় আমি কাজ করেছি। পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে যখন কোনও লোক এপারে আত্মীয়ের বাড়িতে দেখা করতে আসতেন, তখন বাড়িতে বানানো খাবারের বেশি কিছু নিয়ে আসতেন না। আর যখন এখান যেতেন তখন যত কিছু নেওয়া সম্ভব, তা নিয়ে যেতেন। এ থেকেই বোঝা যায় পাক অধিকৃত কাশ্মীর কতটা অবহেলিত। পাকিস্তান ওই এলাকাকে কোনও গুরুত্ব দেয় না। তাই ওখানকার মানুষরা জানেন, ভারতের অন্তর্ভুক্ত হলে তাঁদের কী লাভ। আমাদের সেনার পরিকল্পনাও রয়েছে, কী ভাবে ওই এলাকাকে ফিরিয়ে আনা যায়।”

বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে ভারতের। এই সেনা কী সহজেই দখল করে নিতে পারবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর? না কঠিন বাধার মুখে পড়তে হতে পারে সেনাকে। এ বিষয়ে গ্রুপ ক্যাপ্টেন আরকে দাস এ বিষয়ে বলেছেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর একটা বড় অংশ। বেশিরভাগই অংশই পার্বত্য এলাকা। এই সময় ওখানে আবহাওয়া অনুকূল নয়। তাই মার্চ মাসের আগে এখানে আক্রমণ করা অসুবিধার। পাশাপাশি পিওকে দখল করতে গেলে যুদ্ধ শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তান মরিয়া হয়ে যুদ্ধ করবে। পিওকে দিয়ে গিয়েছে চিনের রাস্তা। তখন চিনও আক্রমণ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুমুখী যুদ্ধ করতে হবে পারে ভারতকে।” একই কথা শোনা গেল বাবুল চন্দের কথাতেও। তিনিও বলেছেন, “ওখানে বরফ করা শুরু হয়ে গিয়েছে। ৭-৮ ফুটের বরফের আস্তরণ পড়ে যায়। এই সময় আক্রমণ করে একেবারেই সম্ভব নয়। মার্চ-এপ্রিলের পরে সেখানে ফিজিক্যাল মুভমেন্ট সহজ হয়।” অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তারা মনে করছেন, ভারতের সেনাবাহিনী পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখলে সক্ষম হলেও, ওই অঞ্চলে যুদ্ধ করার সঠিক সময় শীতকাল নয়।

কলকাতা: পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর দখলের কথা সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক বার শোনা গিয়েছে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে জানিয়েছেন, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের জন্য নির্বাচনী আসন সংরক্ষণের কথা। টিভি৯ বাংলার ম্যানেজিং এডিটর অমৃতাংশু ভট্টাচার্যকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক বলেছেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীরে কোনওদিন সকালে উঠে দেখতে পারেন ভারতের পতাকা উড়ছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।” মোদী-শাহের মতো বলিষ্ঠ নেতৃত্বে POK-র পুনর্দখল হওয়া অসম্ভব নয় বলেও মনে করেন বিজেপি সাংসদ নিশীথ। কিন্তু পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করতে গেলে পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করে তা ছিনিয়ে নিতে হবে। সেই কাজ কতটা চ্যালেঞ্জিং হবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে? এ নিয়ে নিজেদের মতামত টিভি৯ বাংলাকে জানিয়েছেন দেশের প্রাক্তন দুই সেনাকর্তা।

পাকিস্তানের কবল থেকে কাশ্মীরের ওই অংশকে মুক্ত করতে সেনা অভিযানের সঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল বাবুল চন্দ বলেছেন, “আমি ১০ বছর আগের কথা বলছি। ওই এলাকায় আমি কাজ করেছি। পাক অধিকৃত কাশ্মীর থেকে যখন কোনও লোক এপারে আত্মীয়ের বাড়িতে দেখা করতে আসতেন, তখন বাড়িতে বানানো খাবারের বেশি কিছু নিয়ে আসতেন না। আর যখন এখান যেতেন তখন যত কিছু নেওয়া সম্ভব, তা নিয়ে যেতেন। এ থেকেই বোঝা যায় পাক অধিকৃত কাশ্মীর কতটা অবহেলিত। পাকিস্তান ওই এলাকাকে কোনও গুরুত্ব দেয় না। তাই ওখানকার মানুষরা জানেন, ভারতের অন্তর্ভুক্ত হলে তাঁদের কী লাভ। আমাদের সেনার পরিকল্পনাও রয়েছে, কী ভাবে ওই এলাকাকে ফিরিয়ে আনা যায়।”

বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে ভারতের। এই সেনা কী সহজেই দখল করে নিতে পারবে পাক অধিকৃত কাশ্মীর? না কঠিন বাধার মুখে পড়তে হতে পারে সেনাকে। এ বিষয়ে গ্রুপ ক্যাপ্টেন আরকে দাস এ বিষয়ে বলেছেন, “পাক অধিকৃত কাশ্মীর একটা বড় অংশ। বেশিরভাগই অংশই পার্বত্য এলাকা। এই সময় ওখানে আবহাওয়া অনুকূল নয়। তাই মার্চ মাসের আগে এখানে আক্রমণ করা অসুবিধার। পাশাপাশি পিওকে দখল করতে গেলে যুদ্ধ শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে পাকিস্তান মরিয়া হয়ে যুদ্ধ করবে। পিওকে দিয়ে গিয়েছে চিনের রাস্তা। তখন চিনও আক্রমণ করতে পারে। সে ক্ষেত্রে দুমুখী যুদ্ধ করতে হবে পারে ভারতকে।” একই কথা শোনা গেল বাবুল চন্দের কথাতেও। তিনিও বলেছেন, “ওখানে বরফ করা শুরু হয়ে গিয়েছে। ৭-৮ ফুটের বরফের আস্তরণ পড়ে যায়। এই সময় আক্রমণ করে একেবারেই সম্ভব নয়। মার্চ-এপ্রিলের পরে সেখানে ফিজিক্যাল মুভমেন্ট সহজ হয়।” অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্তারা মনে করছেন, ভারতের সেনাবাহিনী পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখলে সক্ষম হলেও, ওই অঞ্চলে যুদ্ধ করার সঠিক সময় শীতকাল নয়।

Next Article