কলকাতা: ৭ বছরেরও বেশি সময় ধরে আটকে চাকরি। ৩১৮ দিন ধরে ধর্মতলায় ধরনা বসে রয়েঠছেন আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থীরা। অবশেষে পুজোর মুখে চাকরিপ্রার্থীদের জন্য আশার খবর শুনিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে কাউন্সেলিংয়ের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ মেধাতালিকায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরা কার কোন স্কুলে পোস্টিং হবে তা বাছাই করতে পারবে কমিশন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের পর ফের কাউন্সেলিং হতে চলেছে। তাতেই কিছুটা স্বস্তি চাকরিপ্রার্থীদের মনে। তবে কাউন্সেলিংয়ের গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে গোটা নভেম্বর মাস শেষ অবধি গড়িয়ে যাবে বলে মনে করছেন এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। মোট ১৪৩৩৯ শূন্যপদের জন্য কাউন্সেলিং হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। পাশাপাশি পরবর্তী ধাপে সুপারিশের অনুমতিও আদালতের তরফে পাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী কমিশন।
এ বিষয়ে এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, আদালতের রায়ের কপি এখনও হাতে পাইনি। তবে রায়ের কথা শুনেছি। কাউন্সেলিং করান যাবে বলে জানানো হয়েছে। তবে সুপারিশপত্র দেওয়া যাবেনা। আজ থেকে তো ছুটি পড়ে যাচ্ছে। চাকরিপ্রার্থীদের ন্যূনতম ৭ দিন সময় দিতে হবে। আমরা সূচি নিয়ে প্রাথমিক চিন্তাভাবনা শুরু করেছি। একদিনের মধ্যে একটা নোটিস প্রাথমিকভাবে দিতে পারব বলে মনে করছি। কিন্তু, এখনও কল লেটার দেওয়া যাবে না। ৩০ অক্টোবর থেকে কল লেটার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে। অনেকেই নানা প্রান্ত থেকে আসবেন। তাই আগাম একটা খসড়া নোটিস দিলে তাঁদের টিকিট কাটা সহ নানা বিষয়ে সূবিধা হবে। তবে মনে রাখতে হবে। আপাতত স্কুল বাছাইয়ের অনুমতিটুকুই শুধু পাওয়া গিয়েছে। আগামী যতদূর জেনেছি পরের শুনানি নভেম্বরের শেষ দিকে হবে। তার আগেই কাউন্সেলিং শেষ করার চেষ্টা করছি।