কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মতোই বুধবার রাজ্যের মন্ত্রিসভায় এক গুচ্ছ পরিবর্তন হল। বুধবার বিকালেই রাজভবনে পৌঁছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানই ভারপ্রাপ্ত রাজ্যপাল লা গণেশানের উপস্থিতিতে মন্ত্রিত্বের শপথ নেন তৃণমূল বিধায়করা। পাঁচ বিধায়ক মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। ২ জন প্রতিমন্ত্রী এবং ২ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। এর কিছুক্ষণ পরেই নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দফতর ভাগ করে দেওয়া হল মন্ত্রীদের মধ্যে।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বালিগঞ্জ থেকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তাঁকে পর্যটন এবং তথ্য-প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব যাওয়ার পরই বিজেপি ছাড়েন বাবুল। তখন তিনি বলেছিলেন, “প্রথম একাদশে থাকতেই চাই।” তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বুধবার থেকে ফের ‘প্রথম একাদশে’ এলেন তিনি।
হুগলির জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী বুধবার মন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। তাঁকে পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী করা হয়েছে। এত দিন এই দফতর ছিল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের হাতে। নগর উন্নয়ন থাকলেও পরিবহণ হাতছাড়া হল ফিরহাদের।
দিনহাটার বিধাক উদয়ন গুহ পেয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের দায়িত্ব। দুর্গাপুর পুর্বের বিধায়ক প্রদীপ মজুমদারকে দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন দফতর। নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক সামলাবেন সেচ দফতর।
পাশকুঁড়া পূর্বের বিধায়ক বিপ্লব রায় চৌধুরী এবং ঝাড়গ্রামের বিধায়ক বীরবাহা হাঁসদা স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন। এর মধ্যে বিপ্লবকে দেওয়া হয়েছে মৎস্য দফতর দায়িত্ব। বীরবাহাকে স্বনির্ভর ও স্বনিযুক্তি দফতর এবং বন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তাজমূল হোসেনকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। হেমতাবাদের বিধায়ক সত্যজিৎ বর্মণকে শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।