যে তালিকাতেই ভোট হোক, ২৫০-র বেশি আসন নিয়ে মমতা মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন: কুণাল ঘোষ
Kunal Ghosh: এদিকে শুভেন্দু চাইছেন স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করুক নির্বাচন কমিশন। আবেদন জানিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু। এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা দাবি করছি বিএলও-দের তালিকা সমস্ত রাজনৈতিক দলকে দিতে হবে।

কলকাতা: বুথ লেভেল অফিসারদের ভয় দেখাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করতে চাইছেন। এই অভিযোগ তুলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক্স হ্যান্ডেলে সেই চিঠি পোস্টও করেছেন। তা নিয়েই শুরু হয়েছে চাপানউতোর। ‘অফিসারদের উপর চাপ সৃষ্টি করলে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে কীভাবে? নির্বাচন কমিশনের উপর স্বতন্ত্র সংস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। এটা গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আঘাত।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে এ ভাষাতেই তোপ দেগেছেন শুভেন্দু। পাল্টা আক্রমণ শানিয়েছে তৃণমূলও।
শুভেন্দু চাইছেন স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করুক নির্বাচন কমিশন। আবেদন জানিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু। এ নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “নির্বাচন কমিশনের কাছে আমরা দাবি করছি বিএলও-দের তালিকা সমস্ত রাজনৈতিক দলকে দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটেও তুলতে হবে বুথ নম্বর ডিটেলস দিয়ে।” তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ যদিও বলছেন, “শুভেন্দু আসলে কল্পনা ভিত্তিক কথা বলছেন। মানুষ কি চায় ওরা বোঝে না। নির্বাচন কমিশনকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই অভিযোগ আমরা তোলার পর সুপ্রিম কোর্ট ও বহু ক্ষেত্রে সহমত হয়েছে। বৈধ ভোটাররা যেন বাদ না যান।” এরপরই এক্কেবারে জোর দিয়ে বলেন, যে তালিকাতেই ভোট করুন শুভেন্দুবাবুরা আড়াইশোর বেশি আসন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন।”
বাংলায় ভোটার তালিকা পরিমার্জন শুরু হলে লাখ লাখ নাম বাদ যাবে। রোহিঙ্গা, বাংলাদেশিদের নাম বাদ যাবে। আগে একাধিকবার এই অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু। এদিনও সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল অনুপ্রবেশকারী আর শরণার্থীদের গুলিয়ে দিচ্ছে। SIR হলেই নাম বাদ যাবে।”
তবে এখানেই শেষ নয়, আরও গুরুতর অভিযোগও তুলেছেন শুভেন্দু। বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় বিডিও, এসডিও রা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বসে, স্থায়ী কর্মী থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল কংগ্রেসের ক্যাডারদের বিএলও হিসাবে করেছে। এমনকী ২৬ হাজার চাকরিচ্যুত লোকজনকেও কোথাও কোথাও বিএলও হিসাবে নিয়োগ করেছে।” এরপরই খোঁচা দিয়ে বলেন, “বিএলও, এসডিও, ডিএম-রা ভাবছেন আগের মতো হবে। সব ধামাচাপা পড়ে যাবে। কিন্তু ধামাচাপা পড়বে না। আপনাদের প্রতি ঘণ্টার কাজ নজরদারি করছি আমরা।” যদিও পাল্টা আক্রমণ শানিয়ে কুণাল বলছেন, “নির্বাচন কমিশনের কাজ নির্বাচন কমিশনকে বুঝতে দিন শুভেন্দু।”
