নয়া দিল্লি: আরজি কর-কাণ্ডে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। প্রশ্ন উঠেছে, তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর আসল কারণ কি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে? প্রশ্ন উঠেছে হাইকোর্ট থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্টেও। শীর্ষ আদালতের শুনানিতেই উঠে এসেছে এক মহিলার কথা।
শুনানি চলাকালীন রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবলকে বিচারপতি পর্দিওয়ালা বলেন, “কে এই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার? তিনি মহিলা না কি পুরুষ?” জবাবে সিবল বলেন, “তিনি একজন মহিলা।” বিচারপতি বলেন, “তাঁর আচরণ অত্যন্ত সন্দেহজন। তিনি কেন এরকম আচরণ করলেন?”
যাঁর সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্ট এ কথা বলল, তাঁর তরফ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া সামনে আসেনি। কোন আচরণের কথা বলা হয়েছে, তা বিচারপতি উল্লেখ করেনি। তবে সিবিআই-এর স্টেটাস রিপোর্ট পড়েই এই প্রশ্ন করেন বিচারপতি পর্দিওয়ালা।
উল্লেখ্য, যে সব প্রশ্ন উঠছে, তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ‘আত্মহত্যা’র তত্ত্ব। ৯ অগস্ট সকালে নির্যাতিতার বাড়িতে যে ফোন গিয়েছিল,তাতে বলা হয়, তিলোত্তমা আত্মঘাতী হয়েছেন। এ কথা শুনে হাসপাতালে ছুটে যান ওই তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা। প্রশ্ন উঠেছে, ঘটনাটাকে কি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল? প্রশ্ন উঠেছে সুপ্রিম কোর্টেও। কে বললেন এমন কথা?
চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে উত্তাল গোটা দেশ। কিন্তু কে সে দিন বাড়িতে ফোন করেছিলেন, তাঁর পরিচয় সামনে আসেনি। শুধুমাত্র তাঁর পদটি জানা গিয়েছে। তিলোত্তমার বাবা জানিয়েছেন, সে দিন আরজি করের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার ফোন করেছিলেন তাঁকে।
আরজি করে অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার পদে রয়েছেন ৪-৫ জন। তাঁদের মধ্যে কে ফোনটা করেছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। সেই নামও সামনে আসেনি। আদালতেও তাঁর নাম প্রকাশ করা হয়নি।
শীর্ষ আদালতের ‘সন্দেহ’ শুধু এই একটা বিষয়ে নয়। তথ্য খতিয়ে দেখে সুপ্রিম কোর্ট উল্লেখ করেছে, ময়নাতদন্ত হওয়ার পর ইউডি কেস বা অস্বাভাবিক মৃত্য়ুর মামল রুজু করা হল কেন? বিচারপতি পর্দিওয়ালা প্রশ্ন করেছেন, অস্বাভাবিক মৃত্য়ু যদি নাই হয়, তাহলে ময়নাতদন্ত করলেন কেন? পরে পুরো প্রক্রিয়ার টাইলাইন আদালতের সামনে পেশ করেন আইনজীবী কপিল সিবল। তবে রাজ্য দাবি করেছে