কলকাতা: অগস্ট মাসে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে সিবিআই (CBI) হেফাজতে ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। পরে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। সেই থেকে প্রায় আড়াই মাস কেটে গেলেও জামিন পাচ্ছেন না বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। লটারি সহ একাধিক অভিযোগে কার্যত জেরবার তিনি। বীরভূমের বেতাজ বাদশা কেষ্ট মণ্ডল এখন সিবিআই ও ইডি-র সাঁড়াশি চাপে রয়েছে। তাঁকে তদন্তের জন্য দিল্লি নিয়ে যাওয়া হতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেউ কেউ। এই পরিস্থিতিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন অনুব্রত।
গত ২৫ নভেম্বর আদালতে পেশ করা হয় অনুব্রতকে। কিন্তু ফের একবার আসানসোল সিবিআই আদালতে তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ হয়ে যায়। ১৪ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলকে। ফলে আপাতত জেল থেকে বেরতে পারছেন না তিনি। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই এবার হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীরা। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
মূলত গরু পাচারের টাকা নেওয়ার অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল অনুব্রতকে। কিন্তু অনুব্রতর আইনজীবীদের দাবি, টাকা নেওয়ার প্রমাণ এখনও পেশ করতে পারেনি সিবিআই। তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়ল হোসেনের ফোন থেকে এই সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া গিয়েছিল বলে দাবি করেছিল সিবিআই। অন্যদিকে, সিবিআই বারবার দাবি করেছে, অনুব্রতর মতো একজন প্রভাবশালীকে জেল থেকে ছাড়া হলে তদন্তে প্রভাব পড়তে পারে। গরু পাচার মামলার তদন্তে দেশ জুড়ে চলছে, আর এই মামলায় অনুব্রতর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে, তখন তাঁকে স্বপদেই বহাল রেখেছে তৃণমূল। আপাতত নতুন কাউকে বীরভূম জেলার দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না। সদ্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।