AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ilish Price Hike: টাকা যার ইলিশ তার? হাত দিলেই ছ্যাঁকা, ১ কিলো মিলছে ২ হাজারে! কেন এত দাম ইলিশের?

Ilish Price Hike: শুধু যে কলকাতায় এই অবস্থা এমনটা নয়, যে সমস্ত জায়গায় থেকে ইলিশ আসে কলকাতায় সেই সব জায়গাতেও দাম খুবই চড়া। দিঘা থেকে ডায়মন্ড হারবার সর্বত্রই একই ছবি। দিঘার মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভাল মানের মাছ খুব একটা আসছে না। তাই ভাল মাছ পেতে হলে দাম দিতে হবে অনেকটাই বেশি।

Ilish Price Hike: টাকা যার ইলিশ তার? হাত দিলেই ছ্যাঁকা, ১ কিলো মিলছে ২ হাজারে! কেন এত দাম ইলিশের?
এল ইলিশImage Credit: TV 9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 01, 2025 | 8:16 PM
Share

কলকাতা: হাওয়া অফিস বলছে ৫ বছরে নাকি রেকর্ড বৃষ্টি হয়েছে এবারেই। পুরোদমে চলছে বর্ষা। আর বর্ষায় বাঙালির পাতে ইলিশ থাকবে না তা কী হয়! কিন্তু ইলিশ কিনতে গেলেই হাতে ছ্যাঁকা। বাজারে ইলিশ যে নেই এমনটা নয়! কলকাতার মানিকতলা বাজারে ইলিশের যা দাম যা শুনে চোখ একেবারে কপালে উঠে যেতে পারে মধ্যবিত্তের। মাছ বিক্রেতারই বলছেন, ১ কেজি ইলিশের দাম প্রায় ১৮০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকা। ২ কিলো ছাড়িয়ে যাচ্ছে ৪ হাজেরর গণ্ডি। আর এক মাছ বিক্রেতা বলছেন, ১ কিলোর মাছে যে যা তা নয়, সাতশো-আটশো গ্রামের মাছও আছে। তবে তার দামও কিলো প্রতি ১৫০০ টাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। 

শুধু যে কলকাতায় এই অবস্থা এমনটা নয়, যে সমস্ত জায়গায় থেকে ইলিশ আসে কলকাতায় সেই সব জায়গাতেও দাম খুবই চড়া। দিঘা থেকে ডায়মন্ড হারবার সর্বত্রই একই ছবি। দিঘার মাছ ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভাল মানের মাছ খুব একটা আসছে না। তাই ভাল মাছ পেতে হলে দাম দিতে হবে অনেকটাই বেশি। এক মাছ ব্যবসায়ী বলছেন, “৮০০ থেকে ৯০০ কিলোগ্রামের মাছটা ১২০০ টাকা প্রতি কিলোতে বিক্রি হচ্ছে। ৫০০ থেকে ৬০০ গ্রামের মাছ ৭০০-৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর যে মাছের ওজন ১ কিলোর বেশি ওজনের মাছ ১৬০০ টাকারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।” 

মৎস্যজীবীরা বলছেন বিগত কয়েকদিনে আগের থেকে ইলিশ ধরা পড়েছে অনেকটাই কম। কারণ, বিগত কয়েক সপ্তাহে পরপর ঘূর্ণাবর্ত, নিম্নচাপ দেখেছে বঙ্গোপসাগর। ফলে সমুদ্রে মৎস্যজীবীদের যাওয়ার ক্ষেত্রে জারি হয়েছিল নিষেধাজ্ঞা। অন্যদিকে দূষণের জেরে নদীতে ইলিশের আগমণও কমেছে। পাশাপাশি দেদার খোকা ইলিশ ধরাতেও বড় মাছের জোগান কমেছে বলে মত একাংশের।    

ডায়মন্ড-হারবার নগেন্দ্র বাজার মৎস্য আড়ত সমিতির সম্পাদক জগন্নাথ সরকার থেকে দিঘা ফ্রিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাসেরা বলছেন, আবহাওয়ার ভীষণ বিপর্যয় চলছিল। বারবার নিম্নচাপ হয়েছে তাতেই এই অবস্থা। গত দেড় মাসে মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিন মাছ ধরা সম্ভব হয়েছে।