কলকাতা: আরজি করের চিকিৎসক মৃত্যু নিয়ে জল ঘলো হচ্ছেই। দিন যত গড়াচ্ছে ততই বাড়ছে রহস্য। এদিকে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে ইতিমধ্যেই খুন-ধর্ষণের ইঙ্গিত মিলেছে। চাপানউতোর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। সিট তৈরি করে তদন্তে শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। রাতেই এক নিরাপত্তারক্ষীকে আটক করা হয়। সকালে গ্রেফতারও করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। যদিও ওই ব্যক্তি সরাসরি হাসপাতালের কর্মী নন বলেই জানা যাচ্ছে। তারপরেও হাসপাতালে অবাধ যাতায়াত ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, সিসি ক্যামেরার ফুটেজের সূত্র ধরেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাত ৩ টে থেকে ৬ টার মধ্যে মৃত্যু হয় ছাত্রীর। এই তথ্য পাওয়ার পরেই নির্দিষ্ট ওই সময় ধরে হাসপাতালের কর্মী, গ্রুপ-ডি স্টাফ, নার্স, জুনিয়র ডাক্তার ছাড়া আর কারুর সেমিনার হলের আশেপাশে যাতায়াত ছিল কিনা সেই তথ্য অনুসন্ধান শুরু করেন তদন্তকারীরা। সেমিনার হলের ভিতরে সিসি ক্যামেরা ছিল না। আশেপাশেও কাছাকাছি জায়াগাতে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের একটি ক্যামেরার ফুটেজে এক ব্যক্তিকে দেখা যায়।
সূত্রের খবর, চেস্ট মেডিসিন ডিপার্টমেন্টের মধ্যে দিয়ে এক ব্যক্তিকে সেমিনার হলের দিকে যেতে দেখা যায়। পরবর্তীতে বেশ কিছু সময় পরে এমার্জেন্সির দিক থেকে বেরোনোর ফুটেজও হাতে পায় তদন্তকারীরা। এরপরেই ওই নিরাপত্তা রক্ষীকে চিহ্নিত করে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশনও পাওয়া যায় হাসপাতালের এমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ে।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)