কলকাতা: কালীঘাটের ৪২ নম্বর মহিমা হালদার স্ট্রিট। ১৯২৬ সালে এই বাড়িতেই জন্ম নিয়েছিলেন কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য। মামার বাড়িতে হয়েছিল জন্ম। দু’বছর-তিন বছর এই বাড়িতে কাটানোর পর তিনি বেলেঘাটায় চলে যান। কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যু হয় ১৯৪৭ সালে। কবির ভাইপো বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের তখন বয়স তিন বছর। কিন্তু এই বাড়িটা পরবর্তীকালে খুব প্রিয় হয়ে ওঠে রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর। ওই বাড়িতে গিয়ে তিনি মাঝেমধ্যে বাড়িতে সম্পর্কে খোঁজ নিতেন। যখন তিনি যেতেন তখনও যদিও রাজ্যের মন্ত্রী হননি। শুধুই নেতা ছিলেন।
এদিকে ততদিনে বাড়ির অবস্থা তথৈবচ। বাড়ি ছিল মাটির। কিন্তু, কালের গ্রাসে কার্যত ভগ্নস্তূপে পরিণত হয়েছিল গোটা বাড়ি। শোনা যায় মন্ত্রী হওয়ার পরেও সেখানে গিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। বাড়িটি দৈর্ঘ্যে বেশ বড় হলেও ১৯৭৪ সালে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য বাড়ির বেশিরভাগ অংশ ভাঙা হয়। পরবর্তীকালে বাড়ির অবশিষ্ট থাকা বেশ কিছুটা অংশে সুকান্ত স্মৃতি পাঠাগার তৈরি করা হয়। কলকাতা পুরসভা জমি দেয় সেই পাঠাগার সম্প্রসারণের কাজে। তাই বুদ্ধদেবের কত শত স্মৃতি আজও ছড়িয়ে ওই পাঠাগারের অলিতেগলিতে। বুদ্ধদেবের প্রয়াণে শোকের ছায়া সেখানেও। মেনে নিতে পারছেন না সুকান্ত স্মৃতি রক্ষা সমিতির সদস্যরা। বারবার ফিরে ফিরে হাতরাচ্ছেন স্মৃতির পাতা।
সলিল চৌধুরী থেকে হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায় সহ বহু প্রতিথযশা মানুষজন এই বাড়িতে এসে সুকান্ত ভট্টাচার্যের জন্মদিনে নানান গানের অনুষ্ঠান করতেন। সুকান্ত স্মৃতি রক্ষা সমিতির সদস্যরা বলছেন, বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জানলেও কাজের চাপে ওই নির্দিষ্ট দিনে এসে উঠতে পারেননি। তবে বাড়ি সম্পর্কে মাঝেমধ্যে এসে খোঁজ-খবর নিতেন। কিন্তু, শেষ কিছু বছর আর সেখানে পা পড়েনি তাঁর।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)