কলকাতা : তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্যালিকা মেনকা গম্ভীরের মামলায় ইডি কেন জানায়নি যে তাঁকে বিদেশে যেতে দেওয়া হবে না? কেনই বা অভিবাসন দফতর তাঁকে আটকাল বিমানবন্দরে? হাইকোর্টে এই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্র। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ, বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে উত্তর দিতে হবে অভিবাসন দফতরকে। বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে। ইডি-র তরফে জানানো হয়েছে, মানেকাকে শুধু সমন দেওয়া হয়েছে আটকানো হয়নি।
অভিবাসন দফতর গত মার্চ মাসে লুকআউট নোটিস জারি করেছিল। ইডির দাবি, তারপরেও মেনকা একবারও ইডিকে জানাননি যে বিদেশে যাচ্ছেন তিনি। অভিযোগ, গত ১০ সেপ্টেম্বর দেশ ছাড়ার চেষ্টা করেন মেনকা। বিদেশে চলে যাওয়ার পর কোন ঠিকানায় নোটিস পাঠানো হত? তা নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকায় বিমানবন্দরে ইডি সমন দেয় বলে দাবি। কয়লা পাচার মামলায় নোটিস দেওয়া হয়েছিল মেনকাকে।
বিচারপতি এ দিন উল্লেখ করেন, বিদেশ যাত্রায় যে বাধা দেওয়া হবে, তা আদালতকে জানানো হয়নি। ইডি কিছু জানায়নি। আদালতের কাছে এ বিষয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা ছিলনা।
অন্যদিকে, মেনকার আইনজীবী দাবি করেন, কোনও লুকআউট নোটিস জারি করা হয়নি। তিনি অপরাধীও নন। ১৯ জুলাই ইডি শুধু নোটিস দিয়েছিল। সেখানে তদন্তে সহযোগিতা চাওয়া হয়। অভিবাসন দফতরের তাঁকে আটকানোর কোনও কারণ ছিল না বলেই দাবি মেনকার আইনজীবীর। রক্ষাকবচ থাকা সত্ত্বেও কেন মেনকাকে আটকানো হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেই আদালতে মামলা হয়। আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছে। বুধবার ছিল সেই মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতা বিমানবন্দরের অভিবাসন কেন্দ্রে মেনকা গম্ভীরকে আটকানো হয়। সেখানে মেনকাকে একটি সমন দেওয়া হয়। পরে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয় তাঁকে। এরপর আদালত অবমাননার মামলা করেন মেনকা। কয়লা পাচার মামলায় তাঁকে একাধিকবার দিল্লিতেও তলব করা হয়েছিল।