AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Baguati: বাগুইআটিতে স্বামীকে কুপিয়ে খুনের পর পালিয়ে গেল স্ত্রী, আটক প্রেমিক

Kolkata: পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরকিয়ার জেরে পারিবারিক বিবাদে এই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়িওয়ালা তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।

Baguati: বাগুইআটিতে স্বামীকে কুপিয়ে খুনের পর পালিয়ে গেল স্ত্রী, আটক প্রেমিক
বিধাননগর পুলিশImage Credit: Tv9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 27, 2025 | 7:38 PM
Share

বাগুইআটি: পরকিয়ার জেরে স্বামীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। তারপর পালিয়ে যান স্ত্রী। এই ঘটনায় আটক অভিযুক্তের প্রেমিক শুভ রাজবংশী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বাগুইআটির জগতপুরের চড়কতলা এলাকায়। মহিলার প্রেমিকের পাশাপাশি আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যে বাড়িতে তাঁরা ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়ির মালিক ও তাঁর পরিবারকে।

পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত ব্যক্তি নাম ভোলা হালদার। তিনি বিমানবন্দরে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। অভিযুক্ত স্ত্রী হলেন উপাসনা হালদার। তিনি পলাতক। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বাগুইআটি থানার পুলিশ ,ডিসিপি ঐশ্বরিয়া সাগর, এসিপিসহ উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা।

জানা গিয়েছে, বছর খানেক আগে থেকে ভোলা তাঁর স্ত্রী উপাসনা হালদারকে নিয়ে জগতপুরের চড়কতলা এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া থাকতেন। মঙ্গলবার, দুপুরে তাঁদের ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে প্রতিবেশীরা। কৌতূহলী হয়ে ওঠেন তাঁরা। ঘরের দরজায় ধাক্কা দিতেই দেখতে পান উপাসনা কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পোড়াচ্ছেন। এতে সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীরা জোর করে ঘরে প্রবেশ করেন। এরপর বাড়ির মালিককে খবর দেন। বাড়ির মালিক ঘটনাস্থলে এসে বাথরুমে ভোলার রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। পায়ে হাতে পাঁচখানা ধারাল অস্ত্রের কোপ দেখতে পান বলে দাবি তাঁর।

গোটা বিষয়টি প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাগুইআটি থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। ততক্ষণে উপাসনা চম্পট দিয়েছিল। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ উপাসনা হালদারের প্রেমিক শুভ রাজবংশীকে আটক করে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরকিয়ার জেরে পারিবারিক বিবাদে এই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়িওয়ালা তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।

বাড়িওয়ালা সুরজিত শাকারি বলেন, “ওরা বিগত এক বছর ধরে ভাড়া আছেন। আমরা পোড়া পোড়া গন্ধ পাই। তারপর ঘরে দেখি জামা পোড়া। মহিলা বললেন স্বামী দেশে চলে গেছেন। আর ওঁকে বলেছিলাম ঘর ছেড়ে দিতে। এরপর ওঁর একজন আত্মীয়কে ডাকলাম। উনি এলেন। এসে বাথরুমে গেলেন। সেখানেই দেখলেন মহিলা স্বামীকে মেরে দিয়েছে।”