কলকাতা: দীর্ঘদিন থেকেই সহাকারী শিক্ষকের মর্যাদা চেয়ে আসছেন প্যারা টিচার অর্থাৎ পার্শ্ব শিক্ষকেরা। তাঁদের স্পষ্ট দাবি, সহকারি শিক্ষকদের সমান কাজ করলেও তাঁরা সমান বেতন পান না। এমনকী অনেক সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হন। এবার তাঁদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ভাবনা-চিন্তা শুরু করেছে সরকার। সূত্রের খবর, শীঘ্রই তাঁদের নিয়ে একটা সার্ভে করার কথা ভাবা হচ্ছে। রাজ্যে ক’জন পার্শ্বশিক্ষক রয়েছেন, তাঁরা কীভাবে কাজ করছেন, এই সমস্ত বিষয় দেখে তাঁদের পদোন্নতি নির্ধারিত হবে। এছাড়াও কীভাবে তাঁদের সহকারী শিক্ষকদের সমতুল্য করে নেওয়া যায় সে বিষয়গুলিও এবার খতিয়ে দেখবে সরকার। সূত্রের খবর, এমনই ঠিক হয়েছে রাজ্যের নয়া শিক্ষানীতিতে। এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে শিক্ষামহলে।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নন্দিনী মুখোপাধ্যায় বলছেন, “শুনতে বিষয়টা খুব ভাল। কিন্তু রাজ্য সরকার দায়িত্ব নিয়ে কতটা ট্রেনিং করাতে পারবে, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।” শিক্ষাবিদ দেবাশিস সরকার বলছেন, “পার্শ্ব শিক্ষকদের উন্নতি হবে ভাল কথা। কিন্তু তাদের উন্নতি করার পাশাপাশি যেন স্থায়ী শিক্ষকদের শূন্যপদ অবলুপ্ত না করা হয়। কলেজের ক্ষেত্রে দেখেছি, SACT অধ্যাপকরা আসার পর স্থায়ী অধ্যাপকদের শূন্যপদ কমে গিয়েছে। তেমন হলে অসুবিধে।”
অন্যদিকে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির জন্য চালু হচ্ছে নয়া নিয়ম। চালু হচ্ছে অ্যাকাডেমিক পারফরমেন্স ইনডেক্টর। এর মধ্য দিয়েই হবে তাঁদের বার্ষিক মূল্যায়ন। সহজভাবে দেখতে গেলে এখন থেকে শিক্ষকদের গুণগত মান যাচাইয়ের জন্য ‘অ্যাপ্রাইজাল’ পদ্ধতিতে হাঁটতে চলেছে রাজ্য। সবটা দেখেই ঠিক হবে পদোন্নতির বিষয়।