মুকুল-রাজীব থাকবেন? মেগা বৈঠকের আগে আশা-আশঙ্কায় বিজেপি

দলের পাশে আদতে কারা রয়েছেন এবং কারা নেই, সেই ধারণাও কালকের বৈঠকের মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

মুকুল-রাজীব থাকবেন? মেগা বৈঠকের আগে আশা-আশঙ্কায় বিজেপি
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Updated on: Jun 08, 2021 | 12:09 AM

কলকাতা: ভোটের পর ঘর গুছিয়ে নিতে গত শনিবারই মেগা বৈঠক সেরে ফেলেছে তৃণমূল। এ বার ভোটে হারের কারণ খোঁজা-সহ আগামী সময়ের পরিকল্পনা নির্ধারণ করতে আজ, অর্থাৎ মঙ্গলবার বড় বৈঠকে বসতে চলেছে রাজ্য বিজেপি। যেহেতু ভোটের পর থেকে দলবদলু বহু নেতা নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন, সেই কারণে এই বৈঠকের তাৎপর্য অনেকটাই। দলের পাশে আদতে কারা রয়েছেন এবং কারা নেই, সেই ধারণাও আজকের বৈঠকের মাধ্যমেই স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিজেপি সূত্রে খবর, এই বৈঠকের মাধ্যমেই আগামিদিনের কর্মসূচি ঠিক করা হবে।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যদিও বৈঠকের আগের দিন রাতেই দিল্লি উড়ে গিয়েছেন। তাই সশরীরে না থাকলেও ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে তিনি এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন। তবে যে দুই নেতার দিকে গোটা রাজ্য শুধু নয়, জাতীয় রাজনীতিরও চোখ আটকে রয়েছে, সেই মুকুল রায় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কালকের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন বলে আশাবাদী গেরুয়া শিবির। বিজেপি সূত্রে খবর, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে হাজির থাকবেন। মুকুল রায়ও আসতে পারেন। তবে সদ্য করোনা থেকে সেরে ওঠায় ভার্চুয়ালি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন কৃষ্ণনগর উত্তরের সাংসদ। নজর থাকবে বিধাননগরের বিজেপি প্রার্থী সব্যসাচী দত্তর উপরেও।

আরও পড়ুন: ‘অবশেষে ৪ মাস পর উনি শুনলেন’, তীর্যক সুরে কেন্দ্রের ফ্রি টিকাকরণের সিদ্ধান্তকে স্বাগত মমতার

সূত্রের খবর, লকডাউন উঠে গেলেই আগামী সময়ে আন্দোলনে নামার কথা ভাবছে বিজেপি। আন্দোলনের প্রধান দুই হাতিয়ার হতে চলেছে ভোট পরবর্তী হিংসায় যারা ঘরছাড়া তাঁদের ঘরে ফেরানো। এবং রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি। টিকা বণ্টন নিয়ে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে বলেও দাবি তুলে আন্দোলন চালাবে বিজেপি। এর পরবর্তী সময়ে অগাস্ট মাসে সংসদে অধিবেশন শুরু হলে সেখানেও বিষয়টিকে বড় করে উত্থাপন করার কথা ভাবা হয়েছে। একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চেয়ে রামনাথ কোবিন্দের কাছেও যাবেন এ রাজ্যের বিজেপি সাংসদরা। বিজেপি সূত্রে খবর, খুব সম্ভবত আগামী ১৯ মে থেকে আন্দোলনে নামা হবে।

অন্যদিকে ফল কেন খারাপ হল তার জবাব দিতে হবে জেলা সভাপতিদের। রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, নির্বাচন সংক্রান্ত ফলাফল এবং ব্যর্থতার সম্ভাব্য কারণ একটি রিপোর্টের আকারে জমা দিতে বলা হবে। এমনটাই খবর বিজেপি সূত্রে।

আরও পড়ুন: রাজ্যের হাতছাড়া সিকিভাগও, বিনামূল্যে ভ্যাকসিনেশনের সম্পূর্ণ দায়ভার কেন্দ্রের