AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রাজ্যের হাতছাড়া সিকিভাগও, বিনামূল্যে ভ্যাকসিনেশনের সম্পূর্ণ দায়ভার কেন্দ্রের

জাতির উদ্দেশের বার্তা দিতে এসে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ২১ জুন থেকে ১৮ ঊর্ধ্ব প্রত্যেকের বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র।

রাজ্যের হাতছাড়া সিকিভাগও, বিনামূল্যে ভ্যাকসিনেশনের সম্পূর্ণ দায়ভার কেন্দ্রের
ফাইল চিত্র।
| Updated on: Jun 07, 2021 | 6:28 PM
Share

নয়া দিল্লি: ভ্যাকসিনেশনে (COVID Vaccination) দেশ ফিরে গেল পয়লা মে-এর আগের নীতিতে। প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত নয়া নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যকে কোনও টিকা কিনতে হবে না। সব দায়িত্ব নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে প্রথম টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর কেন্দ্র যেভাবে রাজ্যকে টিকা পাঠাত, সেই নিয়মেই চলবে টিকাকরণ। অর্থাৎ রাজ্যের কাজ হবে ভ্যাকসিনেশন সেন্টারের মাধ্যমে কোভিড টিকা দেওয়া। এ ছাড়া ভ্যাকসিন কেনা থেকে শুরু অ্যালোকেশন, সব কাজটাই করবে কেন্দ্রীয় সরকার। জাতির উদ্দেশের বার্তা দিতে এসে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা, ২১ জুন থেকে ১৮ ঊর্ধ্ব প্রত্যেকের বিনামূল্যে ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করবে কেন্দ্র।

দেশে টিকাকরণ শুরু হয় ১৬ জানুয়ারি। এরপর ১মে থেকে কেন্দ্রের টিকাকরণ নীতিতে বদল আসে। তখন কেন্দ্র জানায় মোট ভ্যাকসিনের ৫০ শতাংশ কেন্দ্র কিনবে। ২৫ শতাংশ কিনবে রাজ্য ও ২৫ শতাংশ কিনবে বেসরকারি হাসপাতাল। এ বার সেই নিয়মে পরিবর্তন আনল কেন্দ্র। এ বার ৭৫ শতাংশ ভ্যাকসিন কিনবে কেন্দ্রীয় সরকার। বাকি ২৫ শতাংশ থাকবে বেসরকারি হাসপাতালের দায়িত্বে। ভ্যাকসিন কেনার জন্য ১ টাকাও খরচ করতে হবে না রাজ্য সরকারকে।

টিকা নীতিতেও কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত?

জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে এসে প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই করোনায় যাঁরা স্বজন হারিয়েছেন তাঁদের সমবেদনা জানান। এরপর কেন্দ্রের টিকা নীতি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “একাধিক রাজ্যের উৎসাহ, আগ্রহ ও দাবি মেনে নিয়ে ২৫ শতাংশ টিকাকরণের দায়িত্ব তাদের হাতে ছাড়া হয়েছিল।” কিন্তু একাধিক রাজ্য এই পদ্ধতিতে কাজ করতে পারছে না। তাই কেন্দ্র সেই ২৫ শতাংশ টিকাকরণেও দায়িত্ব নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর সাফ কথা, নিজেদের ইচ্ছেতেই রাজ্যগুলি টিকাকরণের দায়িত্ব নিয়েছিল, সে পথে কাজ না হওয়ায় ফের কেন্দ্র সেই দায়িত্ব হাতে তুলে নিল।

বেসরকারি ক্ষেত্রে টিকাকরণ:

কেন্দ্র রাজ্যকে টিকা পাঠাবে। তার মাধ্যমেই টিকাকরণ হবে। রাজ্য নিজে থেকে টিকা কিনতে পারবে না। তবে টিকা কেনার অনুমতি থাকবে বেসরকারি হাসপাতালের কাছে। তারা ২৫ শতাংশ টিকা কিনতে পারবে। টাকা দিয়ে সেই টিকা পাবেন সাধারণ মানুষ। প্রতিটি হাসপাতাল টিকার দামের ওপর ডোজ় প্রতি সর্বোচ্চ ১৫০ টাকা পরিষেবা ফি নিতে পারবে।

নতুন নীতিতে চিকিৎসক মহলের প্রতিক্রিয়া:

প্রধানমন্ত্রীর এই নীতিতে ইতিবাচক দিকই দেখছে চিকিৎসক মহল। তবে টিকার অ্যালোকেশন কি ঠিক ভাবে হবে? উঠছে সেই প্রশ্নও। একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে টিকা নীতির জন্য ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আইএমএ কর্তা শান্তনু সেনের প্রতিক্রিয়া, “রাজ্যকে চাহিদা মতো যদি ভ্যাকসিন কেন্দ্র দেয় তাহলে বুঝতে হবে ভর্ৎসনার পর কেন্দ্র কিছু শিখেছে।” চিকিৎসক অনির্বাণ দোলুই অবশ্য কেন্দ্রের এই পদক্ষেপে ইতিবাচক দিকই দেখছেন। উল্লেখ্য, রাজ্য ও বেসরকারি হাসপাতালের জন্য টিকার ভিন্ন দাম হওয়ায় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এই নীতির ফলে অন্তত রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে টিকার দামে কোনও বিভেদ রইল না।

আরও পড়ুন: সবার জন্য বিনামূল্যে ভ্যাকসিন, নভেম্বর পর্যন্ত নিখরচায় রেশন: মোদী